কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাবুলের একটি নারী ড্রাইভিং স্কুল। তালেবান নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে, এমন আশঙ্কায় স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নারী উদ্যোক্তা নিলাব।
রোববার আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিলাব টোলো নিউজকে বলেন, ‘এর আগে প্রায় ৩০ জন নারী গাড়ি চালানো শেখার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে গত এক মাসে একজনও স্কুলে ভর্তি হতে আসেননি।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়েছি।’
কাবুলের ওই ড্রাইভিং স্কুলটিতে কয়েক মাস আগে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন মুঘদা নামে এক নারী।
তিনি বলেন, ‘মেয়েদের কাজ করা ও দক্ষতা অর্জন করা উচিত। কারও ওপর নির্ভর না করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম।’
তবে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগান নারীদের স্বনির্ভরতার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে এসেছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মক্ষেত্রে যেতে নারীদের বাধা দিয়েছে গোষ্ঠীটি।
গিতি নামে এক নারী বলেন, ‘শুধু আমার নয়, আফগান নারী ও মেয়েদের জীবনে কিছু লক্ষ্য রয়েছে। তারা অভাবে থাকতে চায় না। মেয়েরা চিকিৎসক, ম্যানেজারসহ অন্যান্য পেশায় অংশ নিয়ে হালাল উপার্জন করতে চায়।’
কাবুল দখলের পর তালেবান ঘোষণা দিয়েছিল, কথিত শরিয়াহ আইনের আওতায় নারীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যেতে পারবেন। তবে পাকাপাকিভাবে ক্ষমতা দখলের পর সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে গোষ্ঠীটি। ইতোমধ্যে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তালেবান।