অসমে ব্রহ্মপুত্র চরের উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নিহতের ঘটনায় তোপের মুখে পড়েছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিজেপি সরকার।
কথিত অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদের নামে অসমের দরং জেলার ঢলপুরের গরুখুঁটিতে চার হাজার বিঘা জমির ওপরে ৮০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করতে যায় বিজেপি সরকারের পুলিশ। এ সময় সেখানকার মুসলমান বাঙালিদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় নিহত হন তিনজন।
একজন গুলিবিদ্ধ গ্রামবাসীর ওপর পুলিশি অত্যাচারের ভিডিও প্রকাশ পেতেই দেশজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।
স্থানীয় এআইইউডিএফ বিধায়ক আশরাফুল হোসেনের অভিযোগ, ‘সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার নিজের দেশের লোকদেরই হত্যা করছে।’
হাইকোর্টে মামলা চলার সময় এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযানের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি ।
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে।
অমানবিক এই ‘গণহত্যার’ প্রতিবাদে কলকাতার অসম ভবনের সামনে শনিবার দুপুর ১টায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংগঠন।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার পদত্যাগ, ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, দোষীদের শাস্তি এবং এখনই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের দাবিতে এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে।
উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নিহতের ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
তিনি বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানের কাজ পুলিশকে দেয়া হয়েছিল, ওরা ওদের কর্তব্য করবে।’
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ভাই ও জেলা পুলিশ সুপার সুশান্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চলে।
ব্রহ্মপুত্রের চরে মূলত বাঙালি মুসলমানদের বাস। এই অঞ্চলের কৃষিজীবী মানুষের অনেককেই ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে দাবি করা হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘বাংলাদেশ থেকে অনেক সময় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ঢুকলেও বহু সময়ই পরিচয়ের বিভ্রান্তির জেরে রাজ্যের কৃষিজীবী বাসিন্দাদের পুলিশি জুলুমের শিকার হতে হয়।’