বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদেশে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ বন্ধ করছে চীন

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:৫৫

বিভিন্ন দেশে কয়লা জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্প বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি বেইজিং। কিন্তু এ পদক্ষেপে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় অনেক দেশে কয়লাভিত্তিক কারখানার কর্মপরিধি সীমিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে ২০২১ সালেই প্রথম ছয় মাসে কয়লাভিত্তিক কোনো প্রকল্পে তহবিল দেয়নি বেইজিং।

জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহার করা হবে, বহির্বিশ্বে এমন কোনো প্রকল্পে আর বিনিয়োগ করবে না চীন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বুধবারের বক্তব্যে এ আশ্বাস দেন চীনের প্রেসিডেন্ট চি শিনপিং।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমাতে চীনের এ পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী বিশ্ব সম্প্রদায়।

অধিবেশনে ভিডিও বার্তায় শিনপিং বলেন, ‘অন্য দেশের কল্যাণে চীনের সহযোগিতামূলক প্রকল্প অব্যাহত থাকবে। পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি ব্যবহারে ন্যূনতম কার্বন নিঃসরণ ঘটে, এমন প্রকল্পে সাহায্য জোরদার করব আমরা। একই সঙ্গে কোনো দেশে নতুন করে কয়লা জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ করব না।’

চীনের প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

উচ্চাভিলাষী বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পে চীনের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। এশিয়া ও ইউরোপকে সড়ক, রেল ও নৌপথে যুক্ত করতে বেইজিংয়ের এ নিউ সিল্ক রোড প্রকল্পও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অংশ।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে বিশ্ব সম্প্রদায়। এ অবস্থায় বিভিন্ন দেশে কয়লাভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ বন্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে দীর্ঘদিন ধরেই চাপের মুখে ছিল চীন।

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় বেশিরভাগ উন্নয়নশীলসহ অনেকগুলো দেশে রেল, সড়ক, বন্দর ও কয়লাভিত্তিক কারখানা গড়ে তুলতে বিনিয়োগ করেছে চীন।

বিভিন্ন দেশে কয়লা জ্বালানিভিত্তিক প্রকল্প বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি বেইজিং। কিন্তু এ পদক্ষেপে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় অনেক দেশে কয়লাভিত্তিক কারখানার কর্মপরিধি সীমিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কয়েক বছরের মধ্যে ২০২১ সালেই প্রথম ছয় মাসে কয়লাভিত্তিক কোনো প্রকল্পে তহবিল দেয়নি বেইজিং।

চীন নিজেও বিশ্বের অন্যতম গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ। অভ্যন্তরীণ জ্বালানির চাহিদা মেটাতেও কয়লার ওপর ব্যাপক নির্ভরশীল দেশটি।

২০৩০ সালের আগেই সর্বোচ্চ কার্বন নিঃসরণ শেষে ২০৬০ সালের মধ্যে চীনকে কার্বন নিরপেক্ষ দেশে পরিণত করা হবে বলে গত বছর আশ্বাস দিয়েছিলেন বেইজিং।

চিনপিংয়ের আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জলবায়ু পরিবর্তন ও করোনাভাইরাস মহামারিসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর