বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৯০ দিন পর পৃথিবীতে ৩ চীনা নভোচারী

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:২৫

মহাকাশে থাকাকালীন তিন নভোচারী পৃথিবীতে পরীক্ষামূলকভাবে তথ্য সরবরাহ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাসহ দৈনন্দিন নানা কাজ সম্পন্ন করেছেন। তারা এই তিন মাস ছিলেন স্পেস স্টেশনটির কেন্দ্রীয় অংশ তিয়ানহে মডিউলে।

মহাকাশে চীনের দীর্ঘতম অভিযানে ইতি টেনে পৃথিবীতে ফিরেছেন তিন নভোচারী। পৃথিবী থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় চীনের মহাকাশ স্টেশনের তিয়ানহে মডিউলে ৯০ দিন কাটিয়েছেন তারা।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শেনঝৌ-১২ মহাকাশযানে চড়ে বৃহস্পতিবার স্পেস স্টেশন থেকে পৃথিবীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিন নভোচারী। চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া অঞ্চলের গোবি মরুভূমিতে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে সফল অবতরণ করেন তারা।

নভোচারীরা হলেন নিয়ে হাইশেং, লিউ বোমিং ও তাং হোনবো। চলতি বছরের ১৭ জুন পৃথিবী থেকে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেন তারা। গোবি মরুভূমি থেকেই রওনা দিয়েছিল তাদের বহনকারী মহাকাশযানটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সফল এই অভিযানের ফলে মহাকাশে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠল চীন।

চীনের গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, মহাকাশে থাকাকালীন তিন নভোচারী পৃথিবীতে পরীক্ষামূলকভাবে তথ্য সরবরাহ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাসহ দৈনন্দিন নানা কাজ সম্পন্ন করেছেন।

তারা এই তিন মাস ছিলেন স্পেস স্টেশনটির কেন্দ্রীয় অংশ তিয়ানহে মডিউলে। সেখানে প্রত্যেক নভোচারীর জন্য পৃথক থাকার জায়গা, মহাকাশে চলতে সক্ষম বিশেষ নকশার ট্রেডমিল-বাইসাইকেলসহ শরীরচর্চাকেন্দ্র ইত্যাদি রয়েছে।

গত কয়েক বছরে মহাকাশ গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বেইজিং। এমনকি বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের সবচেয়ে দূরের অংশে একটি রোবটচালিত রোভারও পাঠিয়েছে চীন।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) অংশ নেই বলে নিজস্ব মহাকাশ কেন্দ্র নির্মাণ করতে হয়েছে চীনকে।

পৃথিবীর কক্ষপথে আইএসএস পরিচালিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে; অংশীদারিত্বে আছে রাশিয়া, ইউরোপ, কানাডা ও জাপান। সেখানে চীনকে কোনো ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয় না।

এ বিভাগের আরো খবর