আফগানিস্তানের জাতীয় নারী ফুটবল দলের পর এবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে জাতীয় কিশোরী ফুটবল দলের সদস্যরা।
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তোর্কহাম সীমান্ত দিয়ে খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারের সদস্যরা পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়।
টুইটে বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী।
তিনি লেখেন, ‘আফগান নারী ফুটবল দলকে স্বাগত জানাই। তারা তোর্কহাম স্থলবন্দর দিয়ে আফগানিস্তান থেকে দেশে প্রবেশ করেছে। পাকিস্তানে ভ্রমণের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় কাগজের মেয়াদ রয়েছে। পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন তাদের স্বাগত জানিয়েছে।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, ৩২ জন খেলোয়াড় ও তাদের পরিবারের সদস্য মিলে মোট ১১৫ জনের একটি দল দাতব্য সংস্থা ‘ফুটবল ফর পিস’ এর মাধ্যমে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তোর্কহাম স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমে দলটি পেশোয়ারে আসে। পরে পূর্বাঞ্চলের শহর লাহোরে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সদরদপ্তরে নেয়া হয় তাদের।
যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, আশ্রয় পেতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে চিঠি দিয়েছিল ফুটবলাররা। সেই ঠিঠিতে বলা হয়, তালেবানের শাসনে তাদের জীবন চরম হুমকিতে আছে।
১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলে নেয় তালেবান। এর কিছু দিনের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালায় দেশটির জাতীয় দলের নারী ফুটবলাররা।
এবার অবশ্য উদার নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তালেবান নেতারা।
শুরুর দিকে নারীদের সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিলেও নিজেদের অবস্থান কিছুটা পোক্ত করার পরপরই সে জায়গা থেকে সরে আসে তালেবান। নারীদের পর্দায় ব্যবস্থায় আরোপ হয় কড়াকড়ি।
সবশেষ গত সপ্তাহে তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের উপপ্রধান আহমাদুল্লাহ ওয়াসিক নারী ক্রিকেট প্রসঙ্গে বলেন, ‘নারীদের মুখ ও শরীর এই খেলায় ঢাকা হয় না। ইসলাম এই পর্দাবিহীন অবস্থা সমর্থন করে না।’