পূর্ব সাগরে উত্তর কোরিয়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
এর আগে একটি অজ্ঞাত ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস)।
ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জাতীয় একটি বস্তু ছোড়া হয়েছে বলে জাপানের কোস্টগার্ডও নিশ্চিত করেছে।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দেশ দুটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের গৃহীত নীতিমালার সঙ্গে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সাংঘর্ষিক।
চলতি সপ্তাহেই দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, সুদূর জাপানেও আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রটি।
ছয় মাসের মধ্যে এটি ছিল উত্তর কোরিয়ার প্রথম কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ সোমবার জানায়, শনি ও রোববার দুই দিন এ পরীক্ষা চলে। প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে নিজস্ব সমুদ্রসীমার মধ্যেই লক্ষ্যে আঘাত হানে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিষিদ্ধ নয়। তবে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি পারমাণবিক বোমা বহনেও সক্ষম।
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অধিক শক্তিশালী ও বড় বোমা বহনে সক্ষম বলে এটি বেশি বিপজ্জনক হিসেবে বিবেচিত। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তুলনামূলক বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম। এটি দ্রুতগতিরও।