ভারতের প্রতি কৃষক পরিবারের গড় বকেয়া ঋণ ২০১৮ সালে ৫৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৭৪ হাজার ১২১ টাকা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার এক বছর আগে কৃষক পরিবার পিছু ঋণ ছিল ৪৭ হাজার টাকা।
জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সর্বশেষ ফলাফলে এই তথ্য সামনে এসেছে।
কৃষক পরিবারের অবস্থা মূল্যায়ন এবং গ্রামীণ ভারতে গৃহস্থদের জমি-২০১৯ নামে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছে ভারত সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়। ওই সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ সালে বিভিন্ন উৎস থেকে গড় মাসিক আয় ৫৯ শতাংশ বেড়ে ১০ হাজার ২১৮ টাকা হয়েছে। ২০১২-১৩ সালে এই আয় ৬ হাজার ৪২৬ টাকা ছিল। আয়ের এই হিসাব ‘পরিশোধিত ব্যয়’ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। উচ্চতর মজুরির কারণে মাসিক আয় ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে, যা ২০১৩ সালে ২ হাজার ৭১ টাকার তুলনায় ২০১৮ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৪ হাজার ৬৩ টাকা হয়েছে। ‘পরিশোধিত ব্যয়’ পদ্ধতির মধ্যে প্রতিটি ধরনের হিসাবের জন্য কৃষক যে খরচ করেন সেটি বিবেচনায় নেয়া হয়।
ভারতে কৃষি বছর জুলাই মাসে শুরু হয় এবং পরের জুন মাসে শেষ হয়।
২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনাদায়ী ঋণগ্রস্ত কৃষক পরিবারের সংখ্যা ৪ কোটি ৬৭ লাখ। এটি ২০১৩ সালের অনুমানের চেয়ে প্রায় এক লাখ কম। ২০১৮-১৯ সালে ভারতে কৃষি পরিবারের সংখ্যা আনুমানিক ৯ কোটি ৩০ লাখ।
সমীক্ষায় কৃষক পরিবারগুলির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল দুই বারের পরিদর্শনে। প্রথমে ২০১৮ সালের জুলাই-ডিসেম্বর এবং ২০১৯ সালের জানুয়ারি-জুন মাসে।
কৃষি পরিবারের প্রতি ১০ হাজার ২১৮ টাকার গড় মাসিক আয়ের (‘পরিশোধিত খরচ’ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে) ৪ হাজার ৬৩ টাকা মজুরি থেকে এসেছে; জমি লিজ থেকে ১৩৪ টাকা; ফসল উৎপাদন থেকে ৩ হাজার ৭৯৮ টাকা; পশুর চাষ থেকে ১ হাজার ৫৮২ টাকা এবং অকৃষি ব্যবসা থেকে ৬৪১ টাকা এসেছে। এইসব আয়ের হিসাব করা হয়েছে সব উৎপাদন ও আনুষঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে।