বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তালেবানে বিরোধ, বারাদারের ওপর হামলা

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২৩:২৬

তালেবান নেতা বারাদারের দল ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মধ্যে শুক্রবার সংঘর্ষ হয়। বারাদার নিজে ওই সংঘর্ষে আহত হন। পরদিন শনিবারই কাবুলে হাজির হন আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ। পরে এক ভিডিও ক্লিপে কাবুল বিমানবন্দরে আইএসআই প্রধানকে বলতে শোনা যায়, ‘চিন্তা করবেন না। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’

কাবুল দখলের তিন সপ্তাহ পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে আফগানিস্তানের কট্টর ইসলামপন্থি সংগঠন তালেবান। নতুন এই সরকারে উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গানি বারাদার।

এর মধ্যেই খবর মিলেছে, সরকার গঠন ও পাঞ্জশির নিয়ে বিরোধের জেরে বারাদারের ওপর হামলা চালিয়েছে তালেবানের দুর্ধর্ষ অংশ হাক্কানি নেটওয়ার্ক। বারাদার আহত হওয়ার পরই সংঘাতময় পরিস্থিতি ঠেকাতে কাবুলে হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ।

এমন তথ্য জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে

এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার তালেবান নেতা বারাদারের দল ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বারাদার নিজে ওই সংঘর্ষে আহত হন। পরদিন শনিবারই কাবুলে হাজির হন আইএসআই প্রধান ফয়েজ হামিদ।

পরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইয়ের প্রকাশিত এক ভিডিও ক্লিপে কাবুল বিমানবন্দরে আইএসআই প্রধানকে বলতে শোনা যায়, ‘চিন্তা করবেন না। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।’

ফয়েজ তালেবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন কি না এমন প্রশ্ন করেন কাবুলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মানসুর আহমদ খান।

জবাবে ফয়েজ হামিদ বলেন, ‘আমি কেবল কাবুলে এসে পৌঁছালাম। আমরা আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাজ করছি।’

মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে তালেবান। নতুন এই সরকারের প্রধান ঘোষণা করা হয়েছে তালেবান নেতা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে।

এতদিন সরকারপ্রধান হিসেবে যার নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল, সেই আব্দুল গনি বারাদারকে করা হয়েছে সরকারের উপপ্রধান।

এর আগে গোষ্ঠীটি জানিয়েছিল, শুক্রবার জুমার নামাজের পরেই সরকার গঠন করা হবে। তবে ওই দিন সরকারের ঘোষণা দিতে পারেনি তালেবান। এর চার দিনের মাথায় সরকার ঘোষণা করে গোষ্ঠীটি।

শনিবারপাঞ্জশির অবজারভার নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, ‘ক্ষমতার দখল নিয়ে শুক্রবার তালেবানের দুই জ্যেষ্ঠ নেতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পাঞ্জশিরের পরিস্থিতি কীভাবে সমাধান হবে সেটি নিয়ে মতবিরোধ থেকে তালেবান নেতা আনাস হাক্কানি ও মোল্লা বারাদারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত বারাদারকে চিকিৎসার জন্য পাকিস্তানে নেয়া হয়েছে।’

ওইদিন তালেবান বিরোধী যোদ্ধাদের গোষ্ঠী নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের একটি অসমর্থিত টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, পাঞ্জশিরের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর তালেবানের হামলার চালানোর বিপক্ষে ছিলেন বারাদার।

অন্য তালেবান নেতাদের মতো পাকিস্তানপন্থি নন বারাদার। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর সঙ্গেও বিরোধ রয়েছে তার। পাকিস্তান অনেক তালেবান নেতাদের আশ্রয় দিলেও মোল্লা বারাদারকে ২০১০ সালে আটক করে। এরপর থেকে আট বছর পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন তিনি।

২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে তাকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান। বারাদারকে নিয়ে আসা হয় কাতারে। সেখানে তিনি তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। বারাদারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সমঝোতার পরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশের সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যায়।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতনের পর গত বিশ বছরে একাধিক বিধ্বংসী হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে। তালেবানের এই অংশটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে এই দলটির ওপরে।

অভিযোগ রয়েছে, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। সম্প্রতি তালেবানের কমান্ডো বাহিনী ‘বদরি ৩১৩’ গঠনের পেছনেও ভূমিকা রয়েছে এই নেটওয়ার্কের।

এ বিভাগের আরো খবর