বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হচ্ছে তিন শিক্ষার্থীর বহিষ্কার ইস্যুতে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে আন্দোলনে শামিল এবার শিক্ষকরাও। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন।
শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ছাত্রদের লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। এরই মাঝে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন। চিঠিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়া ছাত্রী রুপা চক্রবর্তী ও শিক্ষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য রোববার দুপুর থেকে রিলে অনশনে বসেছেন। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে তারা আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বিশ্বভারতীর এই অচলাবস্থার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠনের তরফে অনৈতিকভাবে বেতন কেটে নেয়া, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, বদলিসহ একাধিক হয়রানির অভিযোগ তোলা হয়েছে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এ সব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বহু মামলা চলছে। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় বেড়েছে।
অধ্যাপক সংগঠনের চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, উপাচার্যের ব্যবহার খুবই খারাপ। বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে স্থানীয় মানুষের মনে তিনি ভুল ধারনা গেঁথে দিয়েছেন। তাই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গরিমা ফেরাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি প্রয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন মঞ্চে শুধু থাকা নয়, যৌথমঞ্চ করার প্রক্রিয়া চলছে। অধ্যাপকদের পাশপাশি আন্দোলনে শরিক হবে স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন, হস্তশিল্প সংগঠন, বিশ্বভারতীর মহিলা সংগঠনসহ অন্যান্য সংগঠন।
এদিকে উপাচার্যের গাড়িতে আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রীরা তল্লাশি চালালে তা নিয়ে চলছে বির্তক। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও কেন ছাত্রছাত্রীরা উপাচার্যের গাড়িতে তল্লাশি করেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।