খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সংসদ দেশটির প্রেসিডেন্টের অনুমতি নিয়ে এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
শ্রীলঙ্কায় বেশ কিছুদিন থেকে চিনি, গুঁড়া দুধ ও জ্বালানি গ্যাসের দাম বেড়েই চলেছে। এ জন্য এসব পণ্য পেতে জনগণকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কালোবাজারির জন্য এসব পণ্যের মজুতও বেড়েছে দেশটিতে।
বিরোধী দলীয় নেতা জরুরি অবস্থা জারির প্রয়োজন নেই বলে জানান। বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা যাবে। এমন অবস্থায় জরুরি অবস্থা জারির ফায়দা নিতে পারে অনেকেই বলেও সতর্ক করেন তিনি।
জরুরি অবস্থার আইনে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষ চাইলে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই কারও সম্পদ জব্দ, কোনো স্থানে প্রবেশ করে তল্লাশি করতে পারে। এর জন্য আদালতের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয় না। এমনকি, যে কর্মকর্তারা এমন আদেশ দেন, তারাও মামলা থেকে মুক্ত থাকেন।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে ৩০ আগস্ট এই জরুরি অবস্থা জারি করেন। যা সোমবার সংসদে পাস হয়।
সংবিধান অনুযায়ী সেটি ২২৫ সদস্যের সংসদে ১৫ দিনের মধ্যে বিলটি পাস হতে হবে। সেখানে শাসক দলের সংসদ সংসদ্যের সংখ্যা ১৫০। পরে সংসদে ১৩২ ভোট পেয়ে পাস হয় জরুরি অবস্থা, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫১টি।
দেশটির সরকার বলছে, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সাধারণ আইনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে সরকার। তবে মহামারির কারণে মামলার কাজ অনেক দেরিতে হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন দল বলছে, জরুরি অবস্থা জারি করার অন্যতম কারণ হচ্ছে সাধারণ আইনে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের কাজটি করা যাচ্ছিল না।
শ্রীলঙ্কায় দুটি মার্কসবাদী বিদ্রোহ ও দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে ৫০ বছরের মতো জরুরি অবস্থার মধ্যেই পার করেছে।
অবশ্য দেশটিতে প্রায়ই বিরোধীদের দমন করতে বিভিন্ন আইন ব্যবহারের অভিযোগ তোলা হয়।