আফগানিস্তানে বিদেশি সাহায্য ও ত্রাণ প্রবেশ করাতে চালু করা হয়েছে রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল।
গত ১৪ আগস্ট তালেবান রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলার পরই কাবুল বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের গোলযোগে গত তিন সপ্তাহ বিমানবন্দরটিতে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক ফ্লাইট ওঠানামা করছিল। এসব ফ্লাইটে করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে আফগানসহ প্রায় সোয়া লাখ মানুষকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার কাবুল ও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক রাজধানীতে কয়েকটি নিয়মিত ফ্লাইট চালু করেছে আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইনস। প্রাদেশিক রাজধানীগুলো হলো পশ্চিমের হেরাত, উত্তরের মাজার-ই-শরিফ ও দক্ষিণের কান্দাহার শহর।
এর আগেই কাতারের একটি বিশেষজ্ঞ দলের সহযোগিতায় বিদেশি ত্রাণ গ্রহণ ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলের জন্য কাবুল বিমানবন্দর খুলে দেয়া হয়।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে প্রথম এ খবর প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সেনা প্রত্যাহার সম্পন্নের পর ৩১ আগস্ট প্রথম প্রহরে কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।
বর্তমান আফগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাবুল বিমানবন্দরের রানওয়ে খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দোহা। আফগানিস্তানে জনজীবন স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা হিসেবে নেয়া হয়েছে এ পদক্ষেপ।
কাবুল বিমানবন্দর আবার চালু করতে এবং সব পক্ষের অংশগ্রহণভিত্তিক আফগান সরকার গড়তে গত বুধবার কাবুলে পৌঁছায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল।
পরের দিন তালেবানের সঙ্গে আলোচনা এবং কাবুল বিমানবন্দর চালু করতে কারিগরি সহযোগিতার জন্য তুরস্কের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ চলছে বলে জানান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় দীর্ঘদিন ধরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে কাতার। ২০১৩ সালে দোহায় তালেবানের একটি রাজনৈতিক কার্যালয়ও স্থাপন করা হয়।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের সেনা প্রত্যাহার এবং আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানের আলাদা আলোচনাতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার।