তালেবানের সঙ্গে ভারতের সীমিত যোগাযোগের বরাত দিয়ে নতুন আফগান শাসকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা নয়াদিল্লির উদ্বেগ নিরসনে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নেবে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে এক বৈঠকে একথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানে পাকিস্তানের পদক্ষেপগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র।
কাতারে ভারতের রাষ্ট্রদূত ও দোহায় তালেবানের একজন সিনিয়র নেতার সাম্প্রতিক বৈঠক প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের জবাবে শ্রিংলা বলেন, ‘তালেবানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক সীমাবদ্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টা এমন নয় যে তাদের সঙ্গে আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন হয়েছে। ভারতের উদ্বেগের বিষয়গুলো তাদের জানানো হয়েছে। তালেবান নেতারা সেই বিষয়গুলো নিরসনে বিবেচনার ইঙ্গিত দিয়েছে। এখন দেখতে হবে বাস্তবে তালেবান কোন পথে হাঁটে।’
যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের সরকারি সফর শেষে পররাষ্ট্রসচিব ভারতীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্পষ্টতই, আমাদের মতো যুক্তরাষ্ট্রও নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে পাকিস্তানের নেয়া পদক্ষেপগুলোর ওপর। আফগানিস্তানে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াচ্ছে সে বিষয়ে ‘অপেক্ষা ও দেখার নীতি’ নিয়েছে ভারত। তার মানে এই নয় যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত নিষ্ক্রিয় থাকবে। আফগানিস্তানে পরিস্থিতি খুবই ঘোলাটে। এ পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয় তার ওপর নজর রাখতে হবে।’
শ্রিংলা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আপনাকে দেখতে হবে, তালেবানের পক্ষ থেকে সর্বজনীনভাবে যে আশ্বাসগুলো দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না।