নতুন সরকারে নারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি ও নিজেদের অধিকারের দাবিতে আয়োজিত আফগান নারীদের একটি মিছিলে হামলা চালিয়েছে কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবান।
শনিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিবাদ মিছিলে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে গোষ্ঠীটি। এ ঘটনায় একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সশস্ত্র যোদ্ধাদের নিয়ে মিছিলে উপস্থিত হয়ে তাদের সরে যেতে নির্দেশ দিচ্ছেন এক তালেবান নেতা। এর পরপরই টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
তালেবানের সরকার গঠনের আগে নারী অধিকার, লৈঙ্গিক সাম্য, সুবিচার ও গণতন্ত্রের দাবিতে দুই দিন ধরে মিছিল করে আসছেন আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা। এ ছাড়া তালেবানের নতুন সরকারেও নারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি দাবি জানাচ্ছেন তারা।
কাবুল ছাড়াও দেশটির হেরাত প্রদেশে শুক্রবার মিছিল করেছেন নারী অধিকার কর্মীরা।
১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর তালেবান জানিয়েছিল, নতুন সরকারে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করবে তারা। পরে ওই অঙ্গীকার থেকে সরে আসে গোষ্ঠীটি।
তালেবান তাদের আগের শাসনামলে নারীদের শিক্ষার ও কাজের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।
তবে এবার ‘ইসলামি শরিয়া’র ভিত্তিতে নারীদের অধিকার রক্ষার কথা বলছে গোষ্ঠীটি।
৩১ আগস্ট রাতে দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তান ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময়ে দেশজুড়ে বিশাল অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান।
পশ্চিমা দেশ সমর্থিত আফগান সরকার উৎখাতে একপর্যায়ে ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলে তালেবান যোদ্ধারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই দিনই জনগণকে কোনো বার্তা না দিয়ে দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের মসনদে ফের বসার আয়োজনের প্রায় শেষের দিকে তালেবান। তবে ঘোষণা দিয়েও এখন পর্যন্ত সরকার গঠন করতে পারেনি গোষ্ঠীটি।
তালেবান তাদের আগের শাসনামলের মতোই নারীদের অধিকার কেড়ে নেবে কি না সেটি নিয়ে শঙ্কিত আফগান নারীরা।