আফগানিস্তানে তালেবানের ছোড়া বন্দুকের গুলিতে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে।
রাজধানী কাবুলে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কাবুলের জরুরি হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুলিতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও ৪১ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার রাতে কাবুলের আকাশ বন্দুকের গুলিতে ভারী হয়ে ওঠে। উদযাপনের অংশ হিসেবে গুলি ছোড়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অবশ্য গুলির মূল কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু গুজবও ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে তালেবানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ওই ঘটনার পর আকাশে গুলি ছোড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ।
মুজাহিদ টুইটবার্তায় বলেন, ‘আকাশে গুলি ছোড়া এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান।
‘বন্দুকের গুলি বেসামরিক নাগরিকের ক্ষতি করতে পারে। তাই অপ্রয়োজনে গুলি ছুড়বেন না।’
বন্দুকের গুলি ছুড়ে আনন্দ উদযাপন করা আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
সোমবার রাতে আফগানিস্তানের মাটি দীর্ঘ ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ছাড়ার পরপরই দেশজুড়ে বিজয় উদযাপন করে তালেবান।
ওই সময় মুহুর্মুহু গুলিতে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের শেষ সময়ে দেশজুড়ে বিশাল অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান।
পশ্চিমা দেশ সমর্থিত আফগান সরকার উৎখাতে একপর্যায়ে ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল ঘিরে ফেলে তালেবান যোদ্ধারা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই দিনই জনগণকে কোনো বার্তা না দিয়ে দেশ ছাড়েন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের মসনদে ফের বসার আয়োজনের প্রায় শেষের দিকে তালেবান।