বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাঞ্জশিরে তীব্র লড়াই, ব্যাপক হতাহতের দাবি তালেবান-বিদ্রোহীদের

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:৪০

পাঞ্জশিরের কয়েকটি অঞ্চল দখলের দাবি তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের। অন্যদিকে এনআরএফএর বিদ্রোহীরা বলছে, পাঞ্জশিরের সব প্রবেশপথ ও গিরিপথের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে।

তালেবানের নিয়ন্ত্রণমুক্ত আফগানিস্তানের একমাত্র প্রদেশ পাঞ্জশির উপত্যকার দখল নিয়ে তীব্র লড়াই হয়েছে সংগঠনটির যোদ্ধা ও স্থানীয় বিদ্রোহীদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবারের ওই সংঘর্ষে দুই পক্ষই ব্যাপক প্রাণহানির দাবি করে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুল পতনের পর কয়েক হাজার স্থানীয় মিলিশিয়া, আফগান সেনাবাহিনী ও বিশেষ বাহিনীর সাবেক সদস্যদের নিয়ে পাঞ্জশিরে জাতীয় প্রতিরোধ বাহিনী (এনআরএফএ ) গড়ে তোলেন স্থানীয় নেতা আহমেদ মাসুদ।

আশির দশকে সোভিয়েতবিরোধী লড়াইয়ে আফগানিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা ছিলেন আহমেদ শাহ মাসুদ। তারই ছেলে আহমেদ মাসুদ।

সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নৈপুণ্যের জন্য আহমেদ শাহ মাসুদ ‘পাঞ্জশিরের সিংহ’ পরিচিতি পান।

পাঞ্জশিরে নব্বই দশকেও তালেবানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আহমেদ শাহ মাসুদ।

২০০১ সালে আততায়ীর হাতে প্রাণ হারান ৪৮ বছর বয়সী সাবেক মুজাহিদীন কমান্ডার মাসুদ।

হিন্দুকুশ পর্বতমালার নিকটবর্তী পাঞ্জশির আজ পর্যন্ত কখনও তালেবানের হাতে পড়েনি।

পাঞ্জশির উপত্যকাটি খাড়া। ভৌগোলিক এ অবস্থানের কারণে বাইরে থেকে এর ওপর হামলা চালানো কঠিন।

এনআরএফএ বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন রয়েছে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহর।

কাবুল পতনের দিন ঘানির দেশত্যাগের পর নিজেকে আফগানিস্তানের ‘ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন সালেহ।

পাঞ্জশিরকে ঘিরে তালেবান ও এনআরএফএর সমঝোতার চেষ্টা বিফলে গেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ জন্য দুই পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করছে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমাদের যোদ্ধারা পাঞ্জশিরে ঢুকে কয়েকটি অঞ্চল দখল করেছে।

‘স্থানীয় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় আমরা সেখানে সামরিক অভিযান শুরু করি।’

অবশ্য এনআরএফএর এক মুখপাত্র দাবি করেন, পাঞ্জশিরের সব প্রবেশপথ ও গিরিপথের নিয়ন্ত্রণ তাদের যোদ্ধাদের হাতেই রয়েছে।

ওই মুখপাত্র বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী পারওয়ান প্রদেশের জবুল-সরাজ শহর থেকে পাঞ্জশিরের শতুল জেলায় ঢোকার বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে শত্রুরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি সপ্তাহের শুরুতে সংঘর্ষ বাধার পর দুটি ফ্রন্টে এরই মধ্যে অনেক তালেবান যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছে।’

হতাহতের বিষয়ে তালেবান ও এনআরএফএ কোনো প্রমাণ উপস্থাপন না করে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যা দিচ্ছে, রয়টার্সের পক্ষে যা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, চারদিক থেকে পাঞ্জশির ঘিরে ফেলা হয়েছে। বিদ্রোহীদের বিজয় অসম্ভব।

এদিকে তালেবানের হাতে আত্মসমর্পণ করবে না বলে জানিয়েছে এনআরএফএ।

এ বিভাগের আরো খবর