ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের পাকিস্তানপন্থি নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ৯২ বছর বয়সে মারা গেছেন।
উপত্যকাটিতে দীর্ঘ তিন দশকের বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির মুখ হিসেবে পরিচিত তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, উপত্যকার ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশের রাজধানী শ্রীনগরে নিজ বাড়িতে স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় গিলানির। বৃহস্পতিবার দাফন করা হয় তাকে।
বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী ছিলেন গিলানি। এক বছর আগেই অব্যাহতি নিয়েছিলেন সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম ও বিচ্ছিন্নতাবাদী জোট হুরিয়াতের দায়িত্ব থেকে।
গিলানির মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে শোক জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেতা মেহবুবা মুফতি।
গিলানির মৃত্যুর পরই তার হায়দারপোরার বাড়িসহ পুরো উপত্যকায় নিরাপত্তা জোরদার করে প্রশাসন। নৈরাজ্যের শঙ্কায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে মুখতার আহমেদ ওয়াজাসহ হুরিয়াতের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে।
২৭ বছর যুক্ত থাকার পর হুরিয়াত ছাড়েন গিলানি। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, পাকিস্তানের সরকার ও সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআইয়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টির জেরে তিনি হুরিয়াত ছেড়েছিলেন।
উপত্যকার সর্ববৃহৎ বিচ্ছিন্নতাবাদী জোট থেকে পদত্যাগ করার সময় গিলানি বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রের কারণেই ২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ঠেকানো যায়নি।
কাশ্মীর বিধানসভার সোপোরে আসন থেকে ১৯৭২, ১৯৭৭ ও ১৯৮৭ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি।