ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি আলিপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকীকরণে পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে কলকাতার এই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরে ৪৬ দশমিক ৫ একর জায়গা নিয়ে তৈরি আলিপুর চিড়িয়াখানা ১৮৭৫ সালে দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। ফলে ১৪৬ বছরের পুরোনো এই চিড়িয়াখানার আধুনিকীকরণ এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করে বনমন্ত্রীর পদে বসান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তার উদ্যোগে শুরু হয়, আলিপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকীকরণের পর্যালোচনা। আলোচনা হয়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।
বন দপ্তর সূত্রের খবর, চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো ও বন্য প্রাণীর বৈচিত্র্য দেখে পছন্দ হয় আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের।
আলিপুর চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো আধুনিকীকরণে প্রাগ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবে বনমন্ত্রী সম্মতি দিলে চুক্তি সই হয়। এতে খরচ পড়বে ৮০ কোটি টাকা।
প্রাগ চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে আলিপুর চিড়িয়াখানা আধুনিকীকরণের কাজ বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ‘ওদের চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো যেমন আমাদের খুশি করেছে, তেমনি প্রাগ চিড়িয়াখানায় এমন বহু প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে, যা ভারতে বিরল প্রজাতি হিসেবে ধরা হয়। ফলে আধুনিকীকরণে যেমন ওদের পরিকাঠামো কাজে লাগানো যাবে, তেমনি ওদের চিড়িয়াখানা থেকে এমন অনেক বন্য প্রাণী নিয়ে আসতে পারব, যা কেবল পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা নয় ভারতবাসীও দেখেননি।’
কয়েকটি বন্য প্রাণী বিনিময়ের জন্য দুই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলে জানান জ্যোতিপ্রিয়। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে বন্য প্রাণীদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা হবে বলে জানান বনমন্ত্রী।