বায়ুদূষণের ফলে প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় নাগরিকদের গড় আয়ু নয় বছর কমে যেতে পারে।
বুধবার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট প্রকাশিত গবেষণামূলক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী দিল্লিসহ মধ্য, পূর্ব ও উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাসকারী ৪৮ কোটির বেশি মানুষকে উল্লেখযোগ্য হারে উচ্চ মাত্রায় বায়ুদূষণের মাত্রা সহ্য করতে হয়।
উদ্বেগজনকভাবে, ভারতের উচ্চ মাত্রার বায়ুদূষণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভৌগোলিকভাবে প্রসারিত হয়েছে, উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং মধ্যাঞ্চলের রাজ্য মধ্যপ্রদেশে বাতাসের মানের ভয়াবহ অবনতি হয়েছে।বিশ্বের রাজধানী শহরগুলোর মধ্যে দূষণে প্রথম স্থানে রয়েছে দিল্লি। ২০২০-তে তৃতীয়বারের জন্য ওই তালিকায় সবার ওপর জায়গা পায় দিল্লি। সুইজারল্যান্ডের দূষণ সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘আইকিউ এয়ার’, তারাই এই তালিকা প্রকাশ করে।
বায়ুদূষণের ফলে মানুষের ফুসফুসে যে ক্ষতি হয়, তার পরিমাপও করে এই সংস্থা। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে কোন শহরে কত বেশি দূষণ, তার পরিমাপ। তবে গত বছর করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের জেরে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমেছে এই শহরে।
গত বছর, দিল্লির ২ কোটি বাসিন্দা, যারা গ্রীষ্মে করোনাভাইরাস লকডাউন নিয়ন্ত্রণের কারণে কিছু পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নিয়েছিল, শীতকালে তারা পাশের রাজ্য পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় খামারের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর কারণে বিষাক্ত বাতাসের সঙ্গে লড়াই করেছিল।গবেষণার ফলাফল অনুসারে, প্রতিবেশী বাংলাদেশ যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত মাত্রায় বাতাসের গুণমান উন্নত করে তাহলে সে দেশে গড় আয়ু প্রায় সাড়ে ৫ বছর বেড়ে যেতে পারে।