যুক্তরাষ্ট্রে গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হেইট ক্রাইম বা বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ হয়েছে ২০২০ সালে।
জাতিগত, জেন্ডার, ধর্মবিশ্বাসের পার্থক্যসহ বিভিন্ন কারণে দেশটিতে গত বছর হামলার শিকার হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে বিশেষভাবে এশীয় বংশোদ্ভূত ও কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের ওপর বিদ্বেষপ্রসূত হামলা বেশি ছিল।
২০১৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধ ঊর্ধ্বমুখী।
২০২০ সালে এফবিআই এ ধরনের সাত হাজার সাত শর বেশি অপরাধ নথিভুক্ত করেছে। ওই বছর এ ধরনের সাত হাজার ৭৮৩টি অভিযোগ পেয়েছিল সংস্থাটি। ২০০৮ সালের পর এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো হেইট ক্রাইমের তথ্য এফবিআইকে জমা দিতে বাধ্য নয়। তাই এ ধরনের অপরাধের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এশীয় বংশোদ্ভূতদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ২৭৪টি বিদ্বেষপ্রসূত অপরাধের তথ্য পেয়েছে এফবিআই।
আইনজীবীরা বলছেন, ভাইরাসের উৎস নিয়ে বিতর্ক থেকে এশীয় বংশোদ্ভূতদের প্রতি ক্ষোভের প্রকাশ বেড়েছে।
অন্যদিকে ২০১৯ সালের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গবিদ্বেষী ঘটনা খুব বেশি না ঘটলেও সবচেয়ে ভুক্তভোগী এ জনগোষ্ঠীর সদস্যরাই। গত বছর আফ্রিকান আমেরিকানদের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৭৫৫টি হেইট ক্রাইম নথিবদ্ধ করেছে এফবিআই।
এফবিআই জানিয়েছে, বিদ্বেষপ্রসূত হামলার ৬২ শতাংশ ভুক্তভোগীই জাতিবিদ্বেষের শিকার। ধর্মীয় মতপার্থক্যের কারণে ১৩ শতাংশ এবং যৌন প্রবণতার কারণে ২০ শতাংশ মানুষ হেইট ক্রাইমের শিকার।
ছয় হাজার চার শর বেশি হামলাকারীর ৫৫ শতাংশই শ্বেতাঙ্গ।