বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আতশবাজির মতো গুলি ছুড়ে তালেবানের বিজয় উদযাপন

  •    
  • ৩১ আগস্ট, ২০২১ ১৫:০৯

বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেন, ‘এটা ঐতিহাসিক একটি দিন, ঐতিহাসিক একটি মুহূর্ত। এই মুহূর্ত আমাদের জন্য গর্বের। এক পরাশক্তির হাত থেকে আজ দেশ স্বাধীন করেছি আমরা।’

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলজুড়ে মুহুর্মুহু শোনা যাচ্ছে গুলির আওয়াজ। বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের সুযোগে ২০ বছরের ব্যবধানে ফের ক্ষমতায় তালেবান। বহু প্রতীক্ষিত সে জয়েরই জানান দেয়া হচ্ছে আকাশে ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দুই দশক পর আরও বেশি শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হওয়ার বার্তা দিতে আতশবাজির মতো গুলি ছুড়ছে তালেবান যোদ্ধারা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরেই কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ করে তালেবান।

তালেবানের প্রকাশ করা অস্পষ্ট ভিডিও ফুটেজে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের শেষ দলটিকে বিমানে উঠতে দেখা যায়।

৩১ আগস্ট প্রথম প্রহর, অর্থাৎ রাত ১২টা বাজার ঠিক এক মিনিট আগে সি-১৭ বিমানে কাবুল ছাড়ে সেনারা। ইতি ঘটে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের জন্য লজ্জাজনক এক অধ্যায়ের।

এরপরই বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।

بدري لښکر ته د مجاهد صاحب وينا pic.twitter.com/TitsD2HzqT

— Tariq Ghazniwal (@TGhazniwal) August 31, 2021

তিনি বলেন, ‘এটা ঐতিহাসিক একটি দিন, ঐতিহাসিক একটি মুহূর্ত। এই মুহূর্ত আমাদের জন্য গর্বের। এক পরাশক্তির হাত থেকে আজ দেশ স্বাধীন করেছি আমরা।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সেনা হিসেবে কাবুলের শেষ ফ্লাইটে পা রাখছেন মেজর জেনারেল ক্রিস ডোনাহিউ।

বিদেশি ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধক্ষেত্র আফগানিস্তান। ২০০১ সাল থেকে দেশটিতে সংঘাতে প্রাণ গেছে প্রায় আড়াই হাজার আমেরিকান সেনা আর আড়াই লাখ বেসামরিক আফগানের।

এ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছে প্রায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার। যদিও শেষ পর্যন্ত একরকম খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পরাশক্তিধর দেশটিকে।

২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে হামলার জন্য আফগান ভূখণ্ডকে আল-কায়েদা জঙ্গিদের চারণক্ষেত্র হওয়া ঠেকাতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এবার আগের চেয়েও বেশি অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে কট্টরপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।

প্রথম দফায় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের শাসনামলে আফগানিস্তানে কঠোর শরিয়াহ আইনের প্রয়োগ দেখেছিল বিশ্ব। এবার অবশ্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে মরিয়া শাসক দল খানিকটা মধ্যপন্থি অবস্থানে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কিন্তু তাও তালেবানের শোষণের ভয়ে গত দুই সপ্তাহে তড়িঘড়ি কাবুল বিমানবন্দর হয়ে দেশ ছেড়েছে প্রায় সোয়া এক লাখ মানুষ, লাখের বেশি আফগান।

নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কাবুল ছাড়ার তাড়াহুড়োয় প্রায় ২০০ আমেরিকান নাগরিক ও কয়েক শ ব্রিটিশ নাগরিককে আফগানিস্তানে রেখেই উদ্ধার অভিযান শেষ করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে।

এ বিভাগের আরো খবর