তালেবান সরকারকে দ্রুত স্বীকৃতি দেয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
একই সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে মঙ্গলবার সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি স্থানীয় সময় শুক্রবার সাংবাদিকদের এসব বার্তা দেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সাকি বলেন, ‘একটা বিষয় আমি পরিষ্কার করে জানাতে চাই। ওয়াশিংটন বা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কেউই আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে দ্রুত কোনো স্বীকৃতি দেবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘তালেবানের আগামী সরকারকে স্বীকৃতি শর্তসাপেক্ষে হবে।
‘সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি হিসেবে কোনো জঙ্গি সংগঠনকে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে না দেয়া এসব শর্তের মধ্যে থাকবে।
‘এ ছাড়া তালেবানকে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বিশেষ করে নারী অধিকারকে মর্যাদা দিতে হবে। এসব শর্ত মানলে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয় বিবেচনা করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, মঙ্গলবার সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উপস্থিতি রাখার বিষয়ে তালেবান আহ্বান জানিয়েছে।
প্রাইস বলেন, ‘তালেবান নেতারা আমাদের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারা আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতা দেখতে চান।
‘কাবুলে আমাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি থাকবে কি থাকবে না, সে সিদ্ধান্ত আমরা নেব, তালেবান নয়।’
তিনি বলেন, ‘তালেবানকে আগে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
‘তালেবান এর আগে আমাদের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে অঙ্গীকার করেছিল।
‘সেসব ফাঁকা বুলি বাদ দিয়ে তালেবানের কাছ থেকে অর্থপূর্ণ আশ্বাসবাণী শুনতে চায় ওয়াশিংটন।’
১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা কাবুল দখল করে। এর পরপরই নিরাপত্তা শঙ্কায় কাবুল থেকে নিজেদের দূতাবাসের অবশিষ্ট কর্মকর্তাদের দ্রুত দেশে ফেরত আনে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ যুক্তরাষ্ট্রের সেনাসহ ১৭০ জনের মৃত্যু হয়।