কাবুল বিমানবন্দর হয়ে আফগানিস্তান থেকে বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারে যুক্তরাজ্যের অভিযান শেষ হচ্ছে শনিবার।
রেডিও ফোরের টুডে অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ চিফ অফ দ্য ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল স্যার নিক কার্টার জানান, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সবাইকে উদ্ধার করা ছাড়াই ইতি টানতে হচ্ছে এ কার্যক্রমে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করার পর থেকেই শহরের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুরু হয় গণ-উদ্ধার কার্যক্রম।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩ আগস্ট থেকে প্রায় ১৫ দিনে কাবুল বিমানবন্দর হয়ে সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছেন ব্রিটিশ সেনারা।
এখনও কাবুল থেকে যুক্তরাজ্যে বেশ কিছু ফ্লাইটে বেসামরিক মানুষজন পৌঁছালেও সে সংখ্যা খুব কম বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধারকাজ প্রায় শেষের দিকে। আজই এ অভিযানের পরিসমাপ্তি ঘটবে। সবশেষে কয়েকটি ফ্লাইটে সেনাদের ফিরিয়ে আনব আমরা।
‘বর্তমান পরিস্থিতিতে যেভাবে যা হওয়ার ছিল, সেভাবেই সব হয়েছে… কিন্তু সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও অনেক মানুষকে ফেলে আসার কঠিন সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হয়েছে।’
যুক্তরাজ্যে প্রবেশের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যেসব আফগানকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, তাদের সংখ্যাটা বেশ বড় বলেও জানান জেনারেল নিক কার্টার।
এ ছাড়া অনেকে ঝুঁকি নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেননি বা চাননি বলেও জানান তিনি।
লন্ডন জানিয়েছে, শুক্রবার ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ আফগান এবং ১০০ থেকে ১৫০ জন ব্রিটিশ নাগরিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তালেবানশাসিত আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের নির্ধারিত তারিখ ৩১ আগস্ট। তারিখ পেছানো হবে না বলে জানিয়েছে তালেবান।
এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট নিজ সেনাদের বড় অংশকে ফিরিয়ে নিলেও বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারে কাবুল বিমানবন্দরে ছয় হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন।
বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের হাতে।
এরই মধ্যে উদ্ধার অভিযানে ইতি টেনেছে জার্মানি-ফ্রান্স।
পেন্টাগনের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই সপ্তাহে এক লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষকে কাবুল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এখনও বিমানবন্দরের ভেতরে অপেক্ষা করছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।