বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাবুল হামলার পেছনে আইএস?

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ২২:০২

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, বিকেল ৫টার দিকে বোমা বেঁধে রাখা জ্যাকেট পরে প্রথম হামলাটি চালান এক আত্মঘাতী আইএস জঙ্গি। এ হামলাটি কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে চালানো হয়। ওই গেট দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা বিমানবন্দরে ঢুকছিলেন।

দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানদের উপস্থিতির মধ্যেই পরপর দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে কাবুল বিমানবন্দর। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে বোমা হামলায় শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে অন্তত চারজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।

হামলার বিষয়ে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সতর্ক বার্তার কয়েক ঘণ্টার ভেতরেই এ ঘটনা ঘটল।

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার না করলেও এর ধারণা করা হচ্ছে, এর পেছনে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট জড়িত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার এমন ইঙ্গিতই দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে

ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিকেল ৫টার দিকে বোমা বেঁধে রাখা জ্যাকেট পরে প্রথম হামলাটি চালান এক আত্মঘাতী আইএস জঙ্গি। এ হামলাটি কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেটের বাইরে চালানো হয়। ওই গেট দিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা বিমানবন্দরে ঢুকছিলেন।

ইরাকের একটি দখল করা অঞ্চলে কয়েকজন আইএস যোদ্ধা। ছবি: এএফপি

পলিটিকোকে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নানগারার ও কুনার প্রদেশ থেকে নিজেদের যোদ্ধাদের অস্ত্রসহ কাবুলের কাছে নিয়ে এসেছে আইএস।

এর আগে আইএস কাবুল বিমানবন্দরে বোমা ও রকেট হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা।

আইএস-তালেবান দ্বন্দ্ব

তালেবান কট্টর ইসলামপন্থি সংগঠন হলেও আফগানিস্তানে তাদের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার এক দিন পর ১৬ আগস্ট আইএসের দক্ষিণ এশিয়া ও দূরপ্রাচ্যবিষয়ক প্রধান আবু ওমর খোরাসানির শিরশ্ছেদ করেছে তালেবান।

জিয়াউল হক নামে পরিচিতি খোরাসানিকে আফগান সরকারের কারাগার থেকে নিয়ে হত্যা করে তারা। শিরশ্ছেদের পর তার মরদেহের ছবি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দেয়া হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করছে আইএস।

আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো চাইছে তালেবান যেন আইএস বা আল-কায়েদার মতো কোনো জঙ্গি গোষ্ঠীকে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করতে না দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিচুক্তিতেও এই অঙ্গীকার করেছে তালেবান। গোষ্ঠীটি চীনকেও আশ্বাস দিয়েছে তারা উইঘুরের স্বাধীনতাকামীদের কোনো সমর্থন দেবে না। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তালেবানের সঙ্গে সমমনা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরোধের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর