আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী মধ্য এশিয়ার দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র ও হেলিকপ্টার কেনার আদেশ দিয়েছে। রাশিয়া এসব ক্রয়াদেশে সম্মতি জানিয়েছে।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর ওই দেশগুলো সামরিক অস্ত্রের ক্রয়াদেশ দেয় বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রাশিয়া।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছে।
ওই সব দেশে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অস্ত্র রপ্তানিকারক সংস্থা রোসোবোরোনেক্সপোর্টের প্রধান আলেক্সান্ডার মিখিভ বলেন, ‘আমাদের হেলিকপ্টার, আগ্নেয়াস্ত্র ও সীমান্ত নিরাপত্তার অত্যাধুনিক ব্যবস্থার বেশ কয়েকটি ক্রয়াদেশ পেয়েছি।
‘সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলো এসব আদেশ সম্প্রতি দিয়েছে। আমরা এসব ক্রয়াদেশ নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
আফগানিস্তানে তালেবানের নতুন নেতৃত্ব নিয়ে সতর্কভাবে আশাবাদী রাশিয়া।
তবে প্রতিবেশী দেশে আফগান শরণার্থীর ব্যাপক ঢল নামতে পারে বলেও প্রতিবেশী দেশগুলোকে সম্প্রতি সতর্ক করেছে দেশটি।
চলতি মাসে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া করে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী দেশ উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান।
সেপ্টেম্বরের ৭ থেকে ৯ তারিখ এই তিন দিন রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট কালেক্টিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশন (সিএসটিও) কিরকিজস্তানে সামরিক মহড়া করার কথা।
এর আগে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে তারা কোনো ধরনের হুমকি হবে না।
এদিকে আফগানিস্তান পরিস্থিতিকে ‘জটিল ও উদ্বেগজনক’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বুধবার তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করছি।
‘সিএসটিওভুক্ত মিত্র দেশের সঙ্গে আমরা সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছি।’
পুতিন বলেন, ‘আমরা স্বভাবতই আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করব না। একই সঙ্গে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকেও আফগানিস্তান পরিস্থিতিতে যুক্ত করব না।’