বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থসংকটের আফগানিস্তানে টাকা বন্ধ বিশ্বব্যাংকেরও

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০১

বিশ্বব্যাংকের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা সহায়তা দেয়া স্থগিত করেছি। আমাদের নীতিমালা সাপেক্ষে দেশটির পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’

কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবানের কাবুল দখলের পর এবার আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক।

সংস্থাটি বলছে, তালেবানের ক্ষমতা দখল দেশটির উন্নয়নের সম্ভাবনাকে বিঘ্নিত করবে। বিশেষ করে, এটি নারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০০২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক আফগানিস্তানে পুনর্গঠন ও উন্নয়ন খাতে প্রায় ৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

বিশ্বব্যাংকের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা সহায়তা দেয়া স্থগিত করেছি। আমাদের নীতিমালা সাপেক্ষে দেশটির পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আরও আলোচনা করব। আফগানিস্তানের জনগণের জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের যে অর্জন সেটি ধরে রাখার রাস্তা বের করার চেষ্টা করছি।’

একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় আফগানিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকতে থাকার মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বব্যাংক।

গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে সহায়তা বন্ধ ঘোষণা দেয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, তালেবানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নিজেদের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা থাকা আফগানিস্তানের প্রায় সাত বিলিয়ন ডলারও আটকে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এমন পরিস্থিতিতে তালেবানকে অর্থ সহায়তা দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে চীন।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়েং ওয়েনবিন বলেন, আফগানিস্তান সংকটের মূলে যুক্তরাষ্ট্র। তাই আফগানিস্তান পুনর্গঠনে সহায়তা না করে দেশটি ছেড়ে যেতে পারে না ওয়াশিংটন।

‘আফগানিস্তান প্রশ্নে বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনীতিতে আস্থা রাখছে বেইজিং। দেশটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকায় দেখা যাবে চীনকে।’

আফগানিস্তানে চীনের নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তায় বেইজিং কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ওয়েনবিনের কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক।

জবাবে তিনি জানান, আফগানিস্তান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

ব্যাংক খুলেছে কাবুলে

প্রায় এক সপ্তাহ পর আবার কাবুলে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা খুলে দেয়া হয়েছে। অর্থসংকটে ভোগা আফগানরা ইতিমধ্যেই ব্যাংকগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করেছে। তবে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক গ্রাহক।

বুধবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির সরকারের পতন এবং তালেবানের রাজধানী কাবুল দখলের মুহূর্তে আফগানিস্তানের ব্যাংকগুলো তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছিল। আশঙ্কা ছিল, ক্ষমতার পালাবদলের সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও লুটপাট হতে পারে।

১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান।

২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের মুখে কাবুল ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হওয়া কওমি মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি সম্প্রতি দেশটির সঙ্গে চুক্তিতে আসে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করে।

কাবুল দখলের আগে তালেবান চীনের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছে। সেখানে এক পক্ষ আরেক পক্ষের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল।

তালেবানের বিরোধিতা করছে না রাশিয়াও; বরং মস্কো থেকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, তালেবানই দেশটির জন্য ভালো বলে তারা মনে করছে।

অবশ্য জার্মানি জানিয়ে দিয়েছে, শরিয়া আইনে দেশ চালালে আফগানিস্তানে তারা সহায়তা বন্ধ করে দেবে। পশ্চিমা আরও কিছু দেশ অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর