বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কত মানুষ কাবুল ছাড়ল

  •    
  • ২৫ আগস্ট, ২০২১ ১৩:৩৬

হোয়াইট হাউস জানায়, মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টায় কাবুল বিমানবন্দর থেকে ১২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিমানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৬ হাজার ৪০০ জনকে। বাকিদের সরানো হয়েছে মিত্র দেশগুলোর বিমানে।

কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মঙ্গলবার পর্যন্ত কাবুল ছেড়েছেন ৭০ হাজার ৭০০ মানুষ।

এ ছাড়া কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাবুল ছাড়তে এখনও হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন।

আফগানিস্তান থেকে পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করে ১৪ আগস্ট থেকে। শুধু নিজেদের নাগরিক নয়, বরং অনেক আফগানও এর মধ্যে দেশ ছেড়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটির নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সেনা আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বিভিন্ন অঞ্চল দখল করতে শুরু করে তালেবান।

১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে দেশটির শাসনক্ষমতা নেয় তালেবান। তার আগেই কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের ৬ হাজার সেনা। তখন থেকে তাদের নাগরিক এবং আফগানিস্তানে তাদের মিশনে কাজ করা আফগান নাগরিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

একই সঙ্গে পশ্চিমা অন্য দেশগুলোও সেনা পাঠায় আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে।

আফগানিস্তান ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষায় আফগান পরিবার। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার জানায়, দেশটি কাবুল থেকে এ পর্যন্ত ৭০ হাজার ৭০০ মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পেরেছে।

কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তালেবানের সঙ্গে একটি চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তি অনুযায়ী ৩১ আগস্টের মধ্যে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাবুল বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ করবে দেশটির সেনারা। এরপর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণভার বুঝে নেবে তালেবান।

হোয়াইট হাউসের বরাতে বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টায় কাবুল বিমানবন্দর থেকে ১২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিমানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৬ হাজার ৪০০ জনকে। বাকিদের সরানো হয়েছে মিত্র দেশগুলোর বিমানে।

অবশ্য জোটের বেশির ভাগ দেশের দাবি, তারা বেঁধে দেয়া ৩১ আগস্ট সময়ের মধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ করতে পারবে না।

মঙ্গলবার জি-সেভেন জোটের বৈঠকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সময় বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানান। বরিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ছাড়া কাবুলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা সম্ভব হবে না।

আফগানিস্তান ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে এক পরিবার। ছবি: এএফপি

জো বাইডেন কোনোভাবেই সময় বাড়ানোর পক্ষে নয় বলে মত দেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের হামলার হুমকি রয়েছে। তাই উদ্ধারকাজ ৩১ আগস্টের মধ্যেই শেষ করবেন তারা। সে জন্য উদ্ধারগতি অব্যাহত রেখেছে দেশটি।

তালেবানও চায় ৩১ আগস্টের পর বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে ছেড়ে দেয়া হোক। ৩১ আগস্টের পরও বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উপস্থিতি চুক্তির লঙ্ঘন হবে বলে উল্লেখ করেছে তালেবান।

তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে রাশিয়া তাদের অন্তত ৫০০ নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা

আফগানিস্তানে উদ্ধারকাজ পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করতে তিনটি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিমানে প্রতিবেশী দেশগুলোর নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে জানানো হয়।

জাপানও তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে বিমান পাঠায়।

এর মধ্যেই তালেবান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যেন আফগানদের দেশ ছাড়তে উদ্বুদ্ধ না করে। আফগানরা যেন দেশ না ছাড়েন এ জন্য বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে চেকপোস্ট বসিয়ে আটকানোর চেষ্টা করছে তালেবান।

কাবুল বিমানবন্দরে গত ১০ দিনে ভিড়ে পদদলিত হয়ে, বিমান থেকে পড়ে ও গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন।

এ বিভাগের আরো খবর