যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে উদ্ধারকাজে সময় দীর্ঘায়িত করতে মিত্র দেশগুলোর আহ্বান সত্ত্বেও তারা ৩১ আগস্টকেই সময়সীমা রাখতে চায়। সে জন্য তাদের কাজ ‘দ্রুতগতিতে’ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি শেষ করব, তত ভালো।’
অবশ্য বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু সংবাদপত্র দাবি করেছে দেশটি এরই মধ্যে তাদের আরও সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। যদিও উদ্ধারকাজ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তালেবান ৯ দিন আগে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর কাবুল বিমানবন্দর থেকে কমপক্ষে ৭০ হাজার ৭০০ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার দাবি করা হয়েছে।
উদ্ধারকাজ পরিচালনা করতে কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ৬ হাজার সেনাসহ পশ্চিমা অন্য দেশগুলোরও বিপুলসংখ্যক সেনা ওই উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে।
তালেবান যোদ্ধারা এরই মধ্যে উদ্ধারকাজের সময়সীমা না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
বাইডেন বলেন, ‘আমাদের লোকজনকে বের হয়ে আসতে সহায়তা করেছে তালেবান। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তালেবানকে তাদের কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে বিচার করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্য আমরা কেউই তালেবানের কথা মেনে নেব না।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, তারা আকাশপথে মানুষকে দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করছেন। কেননা আফগানিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের হামলার হুমকি রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানে থাকার বিষয়টি নিয়ে বলেন, সেখানে আইএসের হামলার হুমকি ক্রমেই বাড়ছে।
মঙ্গলবার অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশের জোট জি-সেভেনের এক জরুরি বৈঠকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধারকাজের সময় বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানানো হয়।
তবে জো বাইডেন জানান, তারা নির্ধারিত ৩১ আগস্টের মধ্যেই উদ্ধারকাজ শেষ করবেন।
তালেবানও চায় পশ্চিমা দেশগুলো তাদের উদ্ধারকাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করুক।
উদ্ধারকাজ ও কাবুল বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি চুক্তি হয় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। সেখানে উদ্ধারকাজের সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত উল্লেখ ছিল।
সময় বাড়ানো হলে চুক্তি লঙ্ঘন করা হবে বলে জানায় তালেবান।