পাকিস্তানের গোয়াদার অঞ্চলে ইস্ট-বে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে কর্মরত চীনাদের বহনকারী গাড়ির ওপর হামলার পরদিনই ইসলামাবাদকে নিরাপত্তা জোরদারের তাগিদ দিয়েছে বেইজিং।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনা নাগরিকদের সুরক্ষায় পাকিস্তান সরকার নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বেইজিং।
ইসলামাবাদে অবস্থিত চীনা দূতাবাস থেকে শনিবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি পাকিস্তানে নিরাপত্তাব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। টানা কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে চীনা নাগরিক নিহত হয়েছেন।’
দূতবাস পাকিস্তানে থাকা নাগরিকদের শক্ত ও সাহসী থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন করতে বলেছে। একই সঙ্গে বাইরে অপ্রয়োজনে না যাওয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
শুক্রবারের আত্মঘাতী হামলায় দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়। এর মধ্যে এক চীনা নাগরিকও ছিলেন।
হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনা দূতাবাস বলেছে, তারা জরুরি একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে।
পাকিস্তানকে তারা ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসা ও ঘটনার তদন্তের ওপর জোর দিয়েছে তারা।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ ডনকে জানান, পাকিস্তানে ২২৯টি চীনা কোম্পানি কাজ করছে। এর মধ্যে ৪০টি কাজ করছে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরে (সিপিইসি)। সেগুলোকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী নিরাপত্তা দিচ্ছে।
বাকি কোম্পানিগুলোর নিরাপত্তাও দ্রুত জোরদার করা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার এরই মধ্যে চীনা নাগরিকদের হুমকির শঙ্কাগুলোকে বিশদভাবে যাচাই করছে।
মন্ত্রী জানান, পাকিস্তানে চীনা নাগরিকদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিয়ে দুই দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।
ডনকে তিনি বলেন, ‘একটি বাচ্চা ছেলে হঠাৎ করে চীনা নাগরিকদের বহনকারী গাড়ির দিকে ছুটে গিয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে সেখানে সাদা পোশাকে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন। তারা ওই ছেলেটিকে থামিয়ে দেন ও গাড়ি থেকে ১৫-২০ মিটার দূরে তার গায়ে বোমা বাঁধা অবস্থায় সে বিস্ফোরণ ঘটায়।’
দাসুতে বাস বিস্ফোরণের পেছনে ভারত-আফগানিস্তানের যোগসাজশ প্রকাশ্যে আসার কিছুদিনের মধ্যেই এই হামলা হলো।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দাসু এলাকায় বিস্ফোরণের পর শ্রমিকসহ একটি বাস পাশের গিরিখাতে পড়ে যায়। এতে নয় চীনা প্রকৌশলীসহ ১৩ জন নিহত হন।