আবার গন্ডারের মৃত্যু। জলদাপাড়া জাতীয় অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া তোর্সা নদীতে একটি পূর্ণবয়স্ক গন্ডারের মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখা গেছে।
শনিবার সকালে জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন সিমলাবাড়ি বনবস্তির কাছে নদীতে গন্ডারটির মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা বনদপ্তরে খবর দেয়।
খবর পেয়ে চিলাপাতা রেঞ্জের বনকর্মী এবং কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছে, আর্থ মুভার দিয়ে গন্ডারের মৃতদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করে।
মৃত গন্ডারের খড়গটি অক্ষত থাকায় বনকর্মীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, এটা পাচারকারী বা চোরা কারবারীদের কাজ নয়। ভারী বর্ষণজনিত কারণে নদীতে ডুবে গন্ডারটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গন্ডারটির দেহাংশ অক্ষত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন বনকর্মীরা। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে, ঠিক কি কারণে গন্ডারটির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গন্ডারটিকে বনকর্মীরা নিয়ে যায়।
গত বছর দুই মাসে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে তিনটি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত
গত বছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে পরপর তিনটি গন্ডারের মৃত্যু হয়েছিল। দুটি গন্ডারের মৃত্যুর পেছনে চোরা শিকারিদের হাত আছে বলে মনে করেছিল বনদপ্তর। অক্টোবরে আরও একটি গন্ডারকে চোরা শিকারিরা গুলি করে হত্যা করে বলে বনদপ্তরের অভিযোগ।
তারপর চোরা শিকারিদের রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নেয় বনদপ্তর। এর ফলে চোরা শিকারিদের দাপট অনেকটা কমে গেছে বলে বনদপ্তরের দাবি।
তবে আজকে তোর্সা নদীতে ভেসে ওঠা গন্ডারটির কি কারণে মৃত্যু হয়েছে, এর সঙ্গে চোরা শিকারিদের হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর।
প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়ায় নদীকেন্দ্রিক বনাঞ্চলের প্রাকৃতিক বৈচিত্রের পাশাপাশি অবলুপ্তপ্রায় একশৃঙ্গ গন্ডার এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য।