জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শীর্ষ নেতা আবু ওমর খোরাসানির শিরশ্ছেদ করেছে তালেবান যোদ্ধারা।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার এক দিন পর ১৬ আগস্ট আইএসের দক্ষিণ এশিয়া ও দূরপ্রাচ্যবিষয়ক প্রধান আবু ওমর খোরাসানির শিরশ্ছেদ করেছে কট্টর ইসলামপন্থি গোষ্ঠী তালেবান।
জিয়াউল হক নামে পরিচিতি খোরাসানিকে আফগান সরকারের কারাগার থেকে নিয়ে হত্যা করে তালেবান যোদ্ধারা।
শিরশ্ছেদের পর তার মরদেহের ছবি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় ক্ষমতার মসনদে বসতে যাওয়া তালেবান যোদ্ধারা।
সংবাদমাধ্যম দ্য পাকিস্তান ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন ঘটনার মধ্য দিয়ে তালেবানের ক্ষমতায়নের বিপক্ষে প্রচ্ছন্ন হুমকি আইএসের বিরুদ্ধে তাদের কঠোর অবস্থানের জানান দেয়া হয়েছে।
এক সাক্ষাৎকারে তালেবান নেতা খায়েরখয়া জানান, এই আইএস যোদ্ধারা কম-বেশি সরকারের হয়ে গুপ্তচরের কাজ করত। সাবেক আফগান সরকার এমন জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যদের গোয়েন্দা হিসেবে অপব্যবহার করেছে।
তবে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর নিজেদের কট্টর অবস্থান পরিবর্তনের বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করতে চেষ্টা চালাচ্ছে তালেবান। তারা জানিয়েছে আগের বারের শাসনামলের মতো কঠোর শরিয়াভিত্তিক আইন তারা চালু করবে না। ভিন্ন মতের সবাইকে সাধারণ ক্ষমা করে দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে তারা। তবে তাদের বর্তমান পদক্ষেপে সন্দেহ দানা বাঁধছে জনগণের মাঝে।
বৃহস্পতিবার জার্মানিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক সাংবাদিককে বাড়িতে না পেয়ে তার আত্মীয়কে গুলি করে হত্যা করেছে তালেবান।
ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সাংবাদিকদের হন্যে হয়ে খুঁজছে তালেবান যোদ্ধারা। জার্মানিতে চলে আসায় তাদের স্বজনরা এখন সংগঠনটির প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক পিটার লিমবুর্গ।
তালেবানের এমন ভয়াবহ আচরণ প্রকাশ পেয়েছে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আগ থেকেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর হয়ে দোভাষীর কাজ করা আফগান নাগরিক সোহাইল পারডিসকে গত ২৩ জুলাই শিরশ্ছেদ করে তালেবান।
তাকে আমেরিকার গুপ্তচর দাবি করে তার শিরশ্ছেদ করেছে তালেবানরা।