বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগস্টের পরও যুক্তরাষ্ট্রের সেনা থাকতে পারে: বাইডেন

  •    
  • ১৯ আগস্ট, ২০২১ ১৮:১১

সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ‘কাবুলে নৈরাজ্য অনিবার্য ছিল। তবে বিশৃঙ্খলা ছাড়া নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে দেশে ফেরানোর কথা অনেকে বলছেন। এটা কীভাবে করা যেত, আমি জানি না।’

চলতি মাসের শেষ নাগাদ আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল।

তবে আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া লোকজনকে কাবুল বিমানবন্দর পৌঁছতে তালেবান বাধা দেয়ায় নির্ধারিত সময়সীমার পরও দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অবস্থান করতে পারে।

এবিসি নিউজকে স্থানীয় সময় বুধবার দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এসব বার্তা দেন বলে জানিয়েছে বিবিসি

আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও প্রায় ১৫ হাজার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অবস্থান করছে।

রোববার তালেবান কাবুল দখলের পরপরই আফগানিস্তান থেকে দ্রুত নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে বিভিন্ন দেশ।

বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করা আফগানদেরও নিরাপত্তা আশঙ্কায় বিভিন্ন দেশে পাঠানো হচ্ছে।

ওয়াশিংটন অঙ্গীকার করেছিল, সেনা প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পাশাপাশি দোভাষীসহ ৫০ থেকে ৬৫ হাজার আফগানকে দেশত্যাগে সহযোগিতা করা হবে।

এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ২০০-এর বেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির দুই হাজার নাগরিক আফগানিস্তান ছাড়ে।

কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে এ মুহূর্তে প্রায় সাড়ে চার হাজার যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অবস্থান করছে।

তালেবানের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, রোববার থেকে এখন পর্যন্ত কাবুল বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বন্দুকের গুলি বা পদদলিত হয়ে আফগানিস্তান ছাড়তে মরিয়া ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়।

এদিকে ভ্রমণ নথিবিহীন আফগানদের কাবুল বিমানবন্দরে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে তালেবান। অবশ্য যাদের নথি রয়েছে তাদেরও বিমানবন্দরে ঢুকতে বেগ পেতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাতে কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছতে চাইলে আফগান এক দোভাষীকে পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে তালেবানের বিরুদ্ধে।

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন নাগরিক সিবিএস নিউজকে বলেন, নির্ধারিত ফ্লাইটে উঠতে বাধার সম্মুখীন হন তারা।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, ‘কাবুলে নৈরাজ্য অনিবার্য ছিল। তবে বিশৃঙ্খলা ছাড়া নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে দেশে ফেরানোর কথা অনেকে বলছেন। এটা কীভাবে করা যেত, আমি জানি না।’

চলতি বছরের এপ্রিলে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার সময় বাইডেন বলেছিলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের দেশে ফেরা নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল হবে।’

আফগানিস্তান দ্রুত তালেবানের দখলে যাওয়ায় দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনীকে ফের দায়ী করেন বাইডেন।

এ বিভাগের আরো খবর