পশ্চিমবঙ্গের দুই শতাধিক মানুষ আফগানিস্তানে আটকা পড়েছেন।
তাদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে রাজ্যের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে বুধবার জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নে মমতা বলেন, 'দার্জিলিং, তরাই, কালিম্পংয়ের অনেক মানুষ আফগানিস্তানে গিয়ে আটকা রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।'
রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের সব জেলাশাসককে কেউ আফগানিস্তানে আটকে থাকলে কোন শহরে রয়েছেন, তার নাম, ফোন নম্বর সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে রাজ্যে বসবাসকারী কোনো আফগান নাগরিকের সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তারও খোঁজ নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন।
আফগানিস্তানে আটকা পড়া রাজ্যবাসীর বড় অংশ দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার।
কয়েক মাস আগে দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং শহরের শেখর গুরুং আফগানিস্তানে রোজগারের উদ্দেশে যান।
সেখানে শেখর আটকা পড়েছেন। ফোনে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় বুধবার দুপুরে।
শেখরের স্ত্রী সঞ্জু গুরুং বলেন, শেষবার ফোন করে কাবুল বিমানবন্দরে যাচ্ছেন বলে জানান শেখর।
শেষ পর্যন্ত শেখর বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না, সেই প্রশ্ন শেখরের স্ত্রীর। ১২ এবং ১৮ বছরের দুই ছেলে রয়েছে গুরুং দম্পতির।
কার্শিয়াংয়ের মন্টেভিউ, দার্জিলিংয়ের লেবং গ্রাম থেকে আফগানিস্তানে কাজ করতে গিয়ে আটকা পড়েছেন বেশ কয়েকজন যুবক।
নিউজ চ্যানেল, সোশ্যাল মিডিয়ায় আফগানিস্তানের দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আফগানিস্তানে কাজ করতে যাওয়া মানুষজনের পরিবার।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘আমাদের জেলা থেকে ২০০ জন কাবুলে আটকা পড়েছেন।
‘আমরা স্থানীয়ভাবে যাচাই করে সব তথ্য রাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্যবিষয়ক দপ্তরে পাঠাচ্ছি।’