ভারতের বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও কংগ্রেসের আইনপ্রণেতা শশী থারুরকে স্ত্রী সুনন্দা পুশকর হত্যার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দিল্লির আদালত।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির অভিজাত একটি হোটেলে সুইট থেকে ৫১ বছর বয়সী সুনন্দাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। থারুরের বাড়িতে সংস্কাকাজ চলছিল বলে সে সময় হোটেলে থাকছিলেন তার স্ত্রী।
পরে সুনন্দার মৃত্যুর ঘটনায় থারুরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ আনে দিল্লি পুলিশ।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক মন্ত্রী ৬৫ বছর বয়সী শশী থারুরকে স্ত্রীর মৃত্যুবিষয়ক সব অভিযোগ থেকে বুধবার খালাস দিয়েছে আদালত।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় থারুর বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ। সাড়ে সাত বছর ধরে এ নিপীড়ন সহ্য করছিলাম।’
পরে লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানান, এবার সুনন্দা পুশকরের জন্য শান্তিতে শোক পালন করতে পারবে তার পরিবার।
তিনি লেখেন, ‘আমার স্ত্রীর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পর থেকে যে দুঃস্বপ্নের বোঝা টেনে চলছিলাম, অবশেষে তা থেকে মুক্ত হলাম। অসংখ্য অভিযোগ আর সংবাদমাধ্যমের অপমান ধৈর্য ধরে সহ্য করেছি। আস্থা রেখেছিলাম বিচার বিভাগের ওপর। তারই ফল পেলাম আজ।’
সুনন্দা পুশকর আত্মহত্যা করেননি বা তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হননি বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলেন থারুর।
তার দাবি ছিল, সুনন্দার মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা ছিল। মৃত্যুর সময় বেশ কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
কংগ্রেসের আইনপ্রণেতার আইনজীবী বলেছিলেন, ‘থারুরের বিরুদ্ধে স্ত্রীর কাছে যৌতুক চাওয়া, হয়রানি বা নিষ্ঠুর আচরণের একজনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই।’
২০১০ সালে বিয়ে করেন শশী থারুর ও সুনন্দা পুশকর। বিয়ের চার বছর পরই স্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যু আর এ নিয়ে একের পর এক অভিযোগে ঝুঁকিতে পরে থারুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।
গুজব রটেছিল, থারুর ও সুনন্দার মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। পাকিস্তানের এক সাংবাদিকের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কেরও অভিযোগ উঠেছিল থারুরের বিরুদ্ধে।
পুলিশ প্রথমে দাবি করেছিল, সুনন্দা পুশকরকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে। এক বছর পর কোনো সন্দেহভাজনের নাম উল্লেখ ছাড়া হত্যা মামলা করা হয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে অসংখ্যবার মামলাটিকে থারুরের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন প্রতিপক্ষের রাজনীতিকরা।