ধর্মীয় গোষ্ঠী তালেবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক মহল থেকে শক্ত প্রতিক্রিয়া আসেনি। বেশির ভাগ দেশই তাদের দূতাবাস ও এর কর্মীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন জানিয়েছে।
অতীতে তালেবানরা যখন আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল, তখন এশিয়ার এই দেশটি পরিণত হয়েছিল জঙ্গি তৈরির কারখানায়। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পরিকল্পনাকারী ওসামা বিন লাদেন প্রশিক্ষণ নিয়েছিল তালেবানদের অধীনেই।
যুক্তরাষ্ট্র
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢোকার পর কোনো প্রতিক্রিয়া না এলেও, এর আগে আফগানিস্তান ইস্যুতে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনক্যান বলছেন, প্রথমে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে সেদেশে অবস্থান করা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা। দূতাবাস থেকে তাদের বিমানবন্দরে নেয়ার প্রক্রিয়া যেন মসৃণ হয়, সেটা নিয়েই ভাবছে ওয়াশিংটন।
যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিকের ওপর হামলা হয় তবে কঠিন জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনক্যান।
রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জামির কাবুলুভ জানান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক আয়োজনে পরাশক্তি বাকি দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ক্রেমলিন।
তিনি বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। শিগগিরই আলোচনায় বসা হবে।’
এখনই কাবুল থেকে দূতাবাস সরানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান জামির কাবুলুভ।
ভারত
কাবুল থেকে দূতাবাস সরানোর পরিকল্পনা নেই ভারতের। তবে সেখানে কর্মরত ভারতীয়দের দ্রুত দেশে ফেরত আনার বিষয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাজ্য
গ্রীষ্মকালীন অবকাশে থাকা যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট শুরুর অপেক্ষায় আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। অধিবেশনে আফগানিস্তান সংকট নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট।
কানাডাআফগানিস্তান পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কাবুলে কানাডার দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছে ট্রুডো সরকার।
অস্ট্রিয়া
আফগান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রিয়া। ইউরোপে শরণার্থী ঢল ফের উপচে পড়তে পারে বলে এই উদ্বেগ জানায় ইউরোপের এই দেশটি।
সুইডেন
কাবুল থেকে দূতাবাসের সব কর্মী সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ সুইডেন।