দেশের স্বাধীনতা দিবসেই সংসদের কার্যাবলি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা।
সুপ্রিম কোর্টের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নতুন আইন পাস হওয়ার আগে আলোচনাই হচ্ছে না। এর ফলে নতুন আইনগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা তৈরি হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশের নীতি ও সাফল্যকে পুনর্বিবেচনা করার সময় এসেছে। …দেশের ইতিহাসে ৭৫ বছর কম সময় নয়। আমরা যখন স্কুলে যেতাম, তখন আমাদের ছোট্ট একটি পতাকা ও গুড়ের টুকরা দেয়া হতো। আজ আমরা এত কিছু পেয়েও খুশি নই।’
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রসঙ্গ টেনেই দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। বিরোধীদের বিক্ষোভে প্রতিদিন সংসদ কার্যাবলি ব্যাহত হওয়া এবং বিনা আলোচনাতেই ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে বিল পাস করানোর সমালেচনা করেন তিনি।
বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। সংসদে কোনো বিষয়েই সঠিকভাবে আলোচনা করা হচ্ছে না। আইনে কোনো স্বচ্ছতা নেই। আইনের লক্ষ্য কী, সেই বিষয়েই আমরা জানি না। এতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হচ্ছে। যখন সংসদে আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীরা থাকেন না, তখন এই রকমই হয়।’
অতীতের সঙ্গে তুলনা টেনে তিনি আইনজীবীদের বলেন, ‘নিজেদের কেবল আইন ব্যবস্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। একই সঙ্গে জনসেবামূলক কাজও করুন। আপনাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সারা দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিন।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা যদি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দেখি, তবে তাদের মধ্যে অনেকেই আইন বিভাগের সদস্য ছিলেন। লোকসভা ও রাজ্যসভার প্রথম সদস্যের অনেকেই আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু এখন সংসদে সেই চিত্র আর দেখা যায় না।
‘আগে সংসদের কক্ষে গঠনমূলক আলোচনা হতো। আমি নিজেই দেখেছি অর্থ বিল নিয়ে কীভাবে বিতর্ক হতো এবং সেখানে গঠনমূলক তথ্য বা দৃষ্টিভঙ্গিই তুলে ধরা হতো। প্রতিটি আইন নিয়ে আলোচনা করা হতো। আইন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হতো সকলের কাছে।’