একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ শহর দখলের পর এবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের ১১ কিলোমিটারের মধ্যে এসে পৌঁছেছে তালেবান যোদ্ধারা। এমন পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তালেবানকে ঠেকানোর জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে একত্রিত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
শনিবার সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আফগানিস্থান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পরই দেশটির একের পর এক অঞ্চল দখলে নিতে শুরু করে কট্টর ধর্মীয় সংগঠন তালেবান। ইতোমধ্যেই দেশটির ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ১৯টি দখল করেছে তারা। দুই দিন আগে তাদের দখলে এসেছে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও হেরাত। এবার রাজধানী কাবুলের দখল নেয়াই তালেবানের প্রধান লক্ষ্য।
গত সপ্তাহ থেকে আফগানিস্তানের দক্ষিণ, উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে তালেবান।
এর আগে চলতি বছরের মে থেকে শুরু হওয়া হামলায় আফগানিস্তানের গ্রামাঞ্চলের বড় অংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগান সরকার উৎখাতে মরিয়া তালেবান। দেশজুড়ে সামরিক অভিযান চালিয়ে ২০ বছর পর রাষ্ট্রক্ষমতায় ফের বসতে চাইছে সংগঠনটি।
তালেবানের অগ্রযাত্রার মধ্যে শনিবারের ভাষণে আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন, আফগান নিরাপত্তা বাহিনীকে ফের একত্রিত করা তার সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
আফগানিস্তানজুড়ে তালেবান ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ঘরহারা হাজার হাজার মানুষকে সহায়তা করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেন, ‘আফগান সরকারের প্রত্যেক কর্মকর্তা ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
‘আলোচনা এখনও চলছে। আলোচনার ফল দ্রুতই জানানো হবে।’
শনিবারের সংক্ষিপ্ত ভাষণের আগে ঘানি ও তার সরকার দেশজুড়ে তালেবানের অগ্রযাত্রার বিষয়ে একেবারেই চুপ ছিলেন।
ঘানির ভাষণের দিনই হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার সেনা কাবুলে পৌঁছায়।
যেকোনো মুহূর্তে কাবুল তালেবানের দখলে যেতে পারে- এই শঙ্কায় আফগানিস্তানে অবস্থানরত নিজেদের নাগরিকদের নিরাপদে দ্রুত দেশে ফেরাতে ওই সেনাদের পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।