আফগানিস্তানে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের সঙ্গে সরকারের চলমান সহিংসতায় তিন দিনে কমপক্ষে ২৭ শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আন্তরাষ্ট্রীয় সংস্থাটির শিশুবিষয়ক অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ বলছে, শিশু সুরক্ষা চরমভাবে লঙ্ঘনের ঘটনা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় তারা শোকাহত।
আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহারের পর থেকে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অনেক অঞ্চল দখলে নিয়েছে তালেবান। গত শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত গোষ্ঠীটি ছয় প্রদেশের রাজধানী কবজা করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, আফগানিস্তানে চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল, তবে তালেবান সে ডাকে সাড়া দেয়নি।
দেশটিতে গত মাসে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে অনেক নারী-শিশু রয়েছে।
এমন বাস্তবতায় সোমবার এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ বলেছে, শিশুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা দিন দিন বাড়ছে।
ইউনিসেফের সোমবারের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত তিন দিনে কান্দাহার, খোস্ত ও পাকতিয়া প্রদেশে ২৭ শিশু নিহত হয়েছে। ওই তিন অঞ্চলে ১৩৬ শিশু আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আফগানিস্তানে ইউনিসেফ কার্যালয়ের কর্মকর্তা সামান্থা মোর্ট বিবিসিকে বলেন, ‘আফগানিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই শিশুদের জন্য জঘন্যতম জায়গাগুলোর একটি, তবে গত কয়েক সপ্তাহে এবং বিশেষভাবে গত ৭২ ঘণ্টায় পরিস্থিতি অনেক বেশি বাজে ছিল।’
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা ও বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে পড়ে শিশু নিহতের ঘটনা ঘটছে।
ভুক্তভোগী এক নারী ইউনিসেফকে জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঘুমাচ্ছিল তার পরিবারের সদস্যরা। ওই সময় বোমার অংশবিশেষ এসে পড়ে তাদের বাড়িতে। এ থেকে সৃষ্ট আগুনে মারাত্মক দগ্ধ হয় তার ১০ বছরের ছেলে।
সংঘর্ষের মধ্যে অনেক শিশুকে তাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে বাইরে রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে।
এমন অবস্থায় ইউনিসেফ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।