নারীর চেহারায় ‘সুখী’ ছাপ দেখলেই মাথায় খুন চাপে তার। ট্রেনে এমনই কয়েকজন নারী দেখার পর রাগের মাথায় তাদের ছুরি দিয়ে হামলা করেন তিনি। আহত হয় ১০ যাত্রী।
পুলিশের কাছে শনিবার এমনটাই বলেছেন জাপানের রাজধানী টোকিওতে ট্রেনে হামলা চালানো ব্যক্তি।
জাপানের সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে।
টোকিওর পশ্চিমাঞ্চলে সেইজোগাকুয়েন স্টেশনের কাছে শুক্রবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে চলমান ট্রেনে যাত্রীদের ছুরিকাঘাত করেন ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি।
ট্রেনের চালক বগির ভেতর যাত্রীদের চিৎকারের শব্দ শুনে দ্রুত ট্রেনটি থামান।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি হামলার পর রেললাইনে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যান। লোকজন ওই ব্যক্তির পেছনে দৌঁড়াতে শুরু করেন।
পালানোর একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি এক দোকানে ঢুকে কর্মচারীদের জানান, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ছুরি হামলার ঘটনার সন্দেহভাজন ব্যক্তি তিনিই। পালাতে পালাতে তিনি ক্লান্ত।
ছুরিকাঘাতে আহত ১০ জনের মধ্যে নয় জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে বিশ্ববিদালয়ের এক ছাত্রীর অবস্থা গুরুতর।
ওই ঘটনার পর অলিম্পিক গেমসের স্বাগতিক টোকিওতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
জাপানের সানকেই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ছুরি হামলায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশকে বলেন, ‘সুখী নারী দেখলে তাদের খুন করার ইচ্ছা ছয় বছর আগে আমার মনে জাগে।
‘কেউ ভালো আছে দেখলেই তাকে হত্যা করতে ইচ্ছা করে।’
এনএইচকেসহ জাপানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও সন্দেহভাজন ব্যক্তির একই বক্তব্য প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে জাপান পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, ওই ঘটনায় তাদের এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলার নেই।
জাপান বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ হলেও সম্প্রতি সেখানে কয়েকটি ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে।
২০১৯ সালে জাপানের কাওয়াসাকি শহরে বাসের জন্য অপেক্ষা করা স্কুলের একদল শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে এক ব্যক্তি।
ওই ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহতের পাশাপাশি কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়।
এ ছাড়া ২০০৮ সালের জুনে জাপানের আকিহাবারা জেলায় ভিড়ের মধ্যে গাড়ি চালানোর পর একপর্যায়ে গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করেন এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় সাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়।