বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে স্বার্থপর বিরোধীরা: মোদি

  •    
  • ৫ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৫৩

সংসদের চলতি বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর দিন থেকে বিরোধীরা পেগাসাস আড়িপাতা কেলেংকারি, তিনটি নতুন কৃষি আইন, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নিয়মের আওতায় আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী সংসদে সব বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলেও পেগাসাস কেলেংকারিকে ‘নন ইস্যু’ আখ্যা দিয়ে আলোচনার দাবি মানতে অস্বীকার করেছেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।

ভারতীয় সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের শুরু থেকে বিরোধীদের বিক্ষোভে কার্যত বারবার উত্তাল হয়েছে রাজ্যসভা ও লোকসভা। সংসদে ২২টি বিল পাশ হয়েছে আলোচনা ছাড়াই। এমন পরিস্থিতিতে আগেও বিরোধীদের দোষারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আবার একবার নাম না করে বৃহস্পতিবার বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তিনি। বিরোধীরা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করলেন মোদি।

তার কথায়, ‘এভাবে দেশের অগ্রগতি আটকানো যাবে না।’

উত্তর প্রদেশে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্নযোজনা’র প্রাপকদের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন মোদি।

সংসদের চলতি বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর দিন থেকে বিরোধীরা পেগাসাস আড়িপাতা কেলেংকারি, তিনটি নতুন কৃষি আইন, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট নিয়মের আওতায় আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছে।

প্রধানমন্ত্রী সংসদে সব বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলেও পেগাসাস কেলেংকারিকে ‘নন ইস্যু’ আখ্যা দিয়ে আলোচনার দাবি মানতে অস্বীকার করেছেন সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী।

ভার্চুয়াল মাধ্যমে ভাষণ দিতে গিয়ে এদিন মোদি বলেন, ‘একদিকে আমার দেশ, দেশের যুব সম্প্রদায় জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এমন কাজ করছে, যাতে তারাই আত্মঘাতী গোল করছে। নিজের স্বার্থে দেশের সময় নষ্ট করছে।’

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘দেশ কী চায়, দেশ কী পাচ্ছে, দেশ কীভাবে বদলাচ্ছে তাতে কিছু যায় আসে না বিরোধীদের।’

এদিন তিনি বিরোধীদের বার্তা দিয়ে সাফ জানান, বিরোধীদের জন্য দেশ কখনও থেমে থাকবে না, দেশের অগ্রগতি আটকানো যাবে না।

বিরোধীদের প্রতি মোদির ক্ষোভ নতুন নয়। এর আগে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিরোধী সাংসদদের বার্তা দিয়েছেন তিনি। এর আগে দলীয় সাংসদদের বৈঠকে একই বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের প্রসঙ্গে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যিনি কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেললেন, তার কোনো অনুতাপ নেই।’

টুইটে ডেরেক ও ব্রায়েন বিল পাস করানোকে ‘পাপড়ি চাট’ তৈরির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, ‘বিল পাস করানো নিয়ে একজন বর্ষীয়ান সাংসদ অপমানজনক মন্তব্য করেছেন। এর আগে সরাসরি কংগ্রেসের নাম করে দলীয় বৈঠকে বার্তা দেন তিনি। কংগ্রেস অধিবেশনে কোনো কাজ করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।’

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত নয়। ভারতের ইতিহাসে কখনও ফোনে আড়িপাতার মতো ঘটনা ঘটেনি। পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনে সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।’

সাংসদের দাবি, এই অভিযোগ নিয়ে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ দুজনেই রহস্যজনকভাবে নিরব। কেন গণতন্ত্র মানা হচ্ছে না, সেটি নিয়ে মুখ খোলার দাবি জানিয়েছেন তিনি। সুখেন্দু শেখরের প্রশ্ন, ‘এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হবে না তো কোথায় হবে?’

এ বিভাগের আরো খবর