বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগস্টেই তৃতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা ভারতে

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৩৮

গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আগস্টেই শুরু হতে পারে তৃতীয় ঢেউ। অক্টোবর মাসে সংক্রমণ পৌঁছে যেতে পারে শীর্ষে। কেরালা, মহারাষ্ট্রের মতো যেসব রাজ্যে সংক্রমণের হার বেশি, সেখানে সংক্রমণ নতুন রেকর্ড গড়তে পারে।

করোনা সংক্রমণ থামাতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে জারি হয়েছিল লকডাউন। বিধিনিষেধ শিথিল করতেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে শুরু হয় মানুষের অসচেতন চলাচল। এ অবস্থায় সংক্রমণ বাড়ার পাশাপাশি চলতি মাসেই ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এমন শঙ্কার ইঙ্গিত দিয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

হায়দরাবাদ ও কানপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির গবেষক মাথুকুমালি বিদ্যাসাগর ও মনীন্দ্র আগরওয়াল সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন একটি গবেষণাপত্র। সেখানে বলা হয়েছে, আগস্টেই শুরু হতে পারে তৃতীয় ঢেউ। অক্টোবর মাসে সংক্রমণ পৌঁছে যেতে পারে শীর্ষে। কেরালা, মহারাষ্ট্রের মতো যেসব রাজ্যে সংক্রমণের হার বেশি ছিল, সেখানে সংক্রমণ নতুন রেকর্ড গড়তে পারে।

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ না হতেই জল্পনা শুরু হয়েছিল তৃতীয় ঢেউয়ের। সেপ্টেম্বরের শেষ ভাগে বা অক্টোবরের শুরুতে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হবে বলে মত দিয়েছিলেন গবেষকরা।

দেশের অধিকাংশ রাজ্য থেকে লকডাউন উঠতেই মানুষের ঢল নামে। তখন গবেষকরা সতর্ক করে বলেছিলেন, সেপ্টেম্বর নয় আগস্টের শেষেই তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। তবে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট আত্মপ্রকাশ না করলে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে না তৃতীয় ঢেউ।

ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় প্রতিদিন ৪ লাখের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে দৈনিক সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

টিকা কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলায় তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যে রাজ্যগুলো করোনার হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত সেখানে ‘বিশেষ নজরদারির’ তাগাদা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব স্থানের সংগৃহীত নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করা প্রয়োজন। তাহলে করোনার নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হলে, আগে থেকেই জানা যাবে।

ভারতে কয়েক সপ্তাহ ধরেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৪০ হাজারের গণ্ডিতে আছে। তার মধ্যে কেরল থেকেই মিলছে অর্ধেক আক্রান্তের খোঁজ। উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যেও সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সেসব বিবেচনায় তৃতীয় ঢেউয়ের হটস্পট হয়ে উঠতে পারে কেরল।

বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশের মাত্র ৭ দশমিক ৬ শতাংশ জনগণ টিকার দুই ডোজ পেয়েছেন। তাতেই ‘হার্ড ইমিউনিটি’ তৈরি হয়েছে বলা যাবে না। সুতরাং কেরালার মতো রাজ্যে যদি একনাগাড়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তবে গোটা দেশেই তা ছড়িয়ে পড়বে। তখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

এ বিভাগের আরো খবর