কাশ্মীর, ফিলিস্তিন বা ইয়েমেনে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সৌদি আরব ও পাকিস্তান।
সৌদি রাজতন্ত্র পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের মাত্রার আরও বিস্তার চায় বলেও মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার তিনি এসব মন্তব্য করেন বলে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এক দিনের সফরে পাকিস্তানে পৌঁছান সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সেখানে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন সৌদি প্রিন্স।
চলতি বছরের মে মাসে তিন দিনের সফরে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ওই সফরে সৌদি-পাকিস্তান সুপ্রিম কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিল (এসপি-এসসিসি) গঠনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন ইমরান।
ওই সফরের কথা উল্লেখ করে মঙ্গলবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সৌদি আরবে গুরুত্বপূর্ণ সফরের সময় এসপি-এসসিসি গঠন করা হয়।
‘এসপি-এসসিসির কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পাকিস্তানে এসেছি।’
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিতে ওই কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে সৌদি-পাকিস্তান। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে এসপি-এসসিসি আরও কার্যকর মাধ্যম হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে আশাবাদী তিনি।
পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে সৌদি সরকারের প্রতিনিধি বলেন, ‘কুরেশির সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের অর্থনৈতিক দিকের প্রতি জোর দেয়া হয়।
‘বিনিয়োগের প্রচলিত ক্ষেত্রের বাইরেও নতুন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’
প্রযুক্তি ও পরিবেশ নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আরও বেশি কাজ করার আগ্রহের কথা জানান সৌদি মন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থনৈতিক উন্নতিসাধনে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন আল সৌদ। দুই অঞ্চলেই স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে পাকিস্তান ও সৌদি আরব বৈঠকে ঐকমত্যে পৌঁছায় বলে জানান তিনি।
আল সৌদ বলেন, ‘আঞ্চলিক বিষয়ে একযোগে কাজ করতে আমরা সম্মত হয়েছি। কাশ্মীর, ফিলিস্তিন বা ইয়েমেন যে অঞ্চলই হোক না কেন, আমরা এসব অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করব।’