বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ত্রিপুরার হোটেলে ‘আটক’ প্রশান্ত কিশোরের ২২ কর্মকর্তা

  •    
  • ২৭ জুলাই, ২০২১ ১১:২৩

সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল থেকে হোটেলের লবিতে আর ভবনের বাইরে অবস্থান নেয় ত্রিপুরা পুলিশের কয়েকজন সদস্য। ২২ আইপ্যাক কর্মকর্তার কাউকেই হোটেল ছেড়ে বের হতে দিচ্ছে না তারা।

ত্রিপুরার একটি হোটেলে আটক হওয়ার অভিযোগ করেছেন ভারতের আলোচিত নির্বাচনি কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের ২২ কর্মকর্তা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রাদেশিক রাজধানী আগরতলায় অবস্থান করছে প্রশান্তের ‘ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ তথা আইপ্যাকের ২২ কর্মকর্তা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জরিপের কাজে দলটি আগরতলায় গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু হোটেলে ঢোকার পর থেকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলটির সদস্যরা।

সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল থেকে হোটেলের লবিতে আর ভবনের বাইরে অবস্থান নেয় ত্রিপুরা পুলিশের কয়েকজন সদস্য। ২২ আইপ্যাক কর্মকর্তার কাউকেই হোটেল ছেড়ে বের হতে দিচ্ছে না তারা।

তাদের বের হতে না দেওয়ার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি ত্রিপুরা পুলিশ। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইপ্যাক কর্মকর্তারা করোনাভাইরাস মহামারিকালীন স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

সংবাদমাধ্যমকে আইপ্যাক জানিয়েছে, করোনাবিষয়ক সব কাগজপত্র কর্মকর্তাদের সঙ্গেই আছে।

একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগরতলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ আর সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি সমর্থন যাচাই করতে গেছে আইপ্যাকের দলটি।

ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় ২০২৩ সালে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা আছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছানোর পরপরই আইপ্যাক সদস্যদের হোটেলে আটকে রাখার খবর প্রকাশ হলো।

ভারতে ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জোট গড়তে তৎপরতা শুরু করেছেন মমতা। চলতি পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তার নির্বাচনি কৌশলবিদ হিসেবে কাজ করা প্রশান্ত কিশোর বিজেপিবিরোধী জোট গড়ায় প্রধান ভূমিকা পালন করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতের বেশ কয়েকটি নির্বাচনে, বিশেষ করে অঞ্চলভিত্তিক রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে দিতে সক্ষম বলে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় প্রশান্ত কিশোর। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করেছেন বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূণ কংগ্রেসসহ অনেক দলের হয়ে।

এই প্রশান্ত কিশোরের নির্বাচনি রণকৌশলেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিতর্ক পেছনে ফেলে ২০১২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী এবং ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

সে সময় কিশোরের মাথা থেকে বের হওয়া ‘চায়ে পে চর্চা’, ‘রান ফর ইউনিটির’ মতো ধারণাগুলোতে ভর করে দেশজুড়ে বিপুল জনপ্রিয়তা পান মোদি।

প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক কর্মকর্তাদের আটকে রাখার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গের আইনপ্রণেতা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি লিখেছেন, ‘ত্রিপুরা হারানোর শঙ্কায় বিজেপির উদ্বেগ এখন আরও প্রমাণিত। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের জয়ে দলটির ভিত নড়ে গেছে।

‘তাই আইপ্যাক কর্মকর্তাদের গৃহবন্দি করে রেখেছে তারা। বিজেপির অপশাসনে হাজারবার মৃত্যু হয়েছে এ দেশের গণতন্ত্রের।’

ত্রিপুরা পুলিশের দাবি, করোনার বিস্তার রোধে নিয়মিত পরীক্ষার অংশ হিসেবে হোটেলটিতে আইপ্যাক কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার মানিক দাস বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় ২২ জনের বহিরাগত দলটি ঘুরে বেড়াচ্ছিল। করোনাকালীন বিধিনিষেধ জারি আছে বলে তাদের ত্রিপুরায় আসা ও আগরতলায় থাকার কারণ খতিয়ে দেখছি আমরা।

‘সোমবার তাদের করোনা পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন টেস্ট রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (আইপ্যাক কর্মকর্তা) আরটি-পিসিআর টেস্টের ফল আগামীকাল (মঙ্গলবার) পাওয়া যাবে। তারা গবেষণার কাজে এখানে এসেছেন বলে যেসব তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে।

‘সত্যতা মিললে এবং করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে তাদের মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

বিষয়টিকে ‘গণতন্ত্রের ওপর আঘাত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের ত্রিপুরা শাখার প্রধান আশীষ লাল সিংহ।

তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরার বাসিন্দা হিসেবে এ ঘটনায় আমি স্তম্ভিত। এটা এ রাজ্যের সংস্কৃতি নয়।

‘ত্রিপুরায় বিজেপির অপশাসনের ফলে তৃণমূলের প্রতি যে প্রবল জনসমর্থন তৈরি হচ্ছে, তাতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে ক্ষমতাসীনরা।’

এ বিভাগের আরো খবর