প্রকৃতির সঙ্গে ছিল তার গভীর মিতালি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে তা প্রকাশ পেয়েছিল। একটি টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘মা প্রকৃতি ছাড়া জীবন কিছুই নয়।’ কিন্তু সে প্রকৃতির রোষেই প্রাণ গেল তার।
বলছি ভারতের জয়পুরের তরুণ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীপা শর্মার কথা। দেশটির হিমাচল প্রদেশে রোববার ভূমিধসে যে ৯ পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের একজন তিনি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হিমাচলের পার্বত্য কিন্নর জেলায় ব্যাপক ভূমিধসের সময় দীপাদের বহনকারী গাড়িটিতে আছড়ে পড়ে কিছু পাথরখণ্ড। এতে হতাহত হন যাত্রীরা।
ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে শেষ টুইটটি করেছিলেন দীপা। এতে তিনি লিখেছিলেন, ‘…ভারতের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে যেখানে সাধারণ নাগরিকরা যেতে পারেন।’
৩৪ বছর বয়সী এ চিকিৎসকের টুইটার অ্যাকাউন্ট ভরা হিমাচল ভ্রমণের ছবিতে। রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে নাগাস্তি আইটিবিপি চেকপোস্টে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি হতে দেখা যায় তাকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই দিন দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে সাংলা-চিৎকুল সড়কের বাস্তেরি এলাকায় কয়েকবার ভূমিধস হয়। এর কয়েক মিনিট আগে ভ্রমণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন দীপা।
বাস্তেরির ওই ভূমিধসে একটি সেতু বিধ্বস্ত হয়েছে; ক্ষতি হয়েছে আরও কিছু যানবাহনের।
টুইটারে দীপার মৃত্যুর খবর জেনে শোক প্রকাশ করেছেন যোগাযোগমাধ্যমটির অনেক ব্যবহারকারী।
দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।
দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লাখ রুপি করে এবং আহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি করে অর্থ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি।