মোদি সরকারের কট্টর সমালোচক ও সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতীর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জহর সরকারকে রাজ্যসভা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে টুইট করে সাবেক আইএএস জহর সরকার রাজ্যসভার তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানানো হয়েছে।
মুকুল রায় বা অটল বিহারী বাজপেয়ি মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা এমনকি কুনাল ঘোষের নাম আলোচনায় এলেও ৯ আগস্ট রাজ্যসভার সাংসদ উপনির্বাচনে পোড়খাওয়া দক্ষ সাবেক আমলা জহর সরকারকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, রাজ্যসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হবেন জহর সরকার । তিনি ৪২ বছর জনসেবায় নিযুক্ত ছিলেন এবং প্রসার ভারতীর সাবেক সিইও। জনসেবামূলক কাজে তার অবদান অনস্বীকার্য । তার এই অভিজ্ঞতা দেশকে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
এই মুহূর্তে রাজ্য বিধানসভায় তৃণমূলের যা শক্তি জহর সরকারের নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই। বিজেপি প্রার্থী না দিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন তিনি।
দীর্ঘ দিন ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন জহর সরকার। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি প্রসার ভারতীর নেতৃত্বে ছিলেন।
বিজেপির সরকারের কাজের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে পদত্যাগ করেন জহর। তিনি মোদি সরকারের একজন ঘোষিত সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
তার অভিজ্ঞতা ও বাগ্মিতা মোদি সরকারকে চেপে ধরতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
৯ আগস্ট রাজ্যসভা আসনের উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা নেয়ার প্রক্রিয়া।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে দীনেশ ত্রিবেদী বিজেপিতে যোগ দিয়ে নৈতিকতার কারণে রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দিলে আসনটি শূন্য হয়।
২৯ জুলাই মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ। ৯ আগস্ট সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শুরু হবে বিকাল ৫টায়।