হায়দরাবাদসহ অন্যান্য শহরের মধ্য দিয়ে পশ্চিমা দেশে তালেবান হেরোইন চোরাচালান করে বলে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) তদন্তে জানা গেছে।
গত কয়েক সপ্তাহে ভারতের বিমানবন্দরে হেরোইনের চালান ধরা পড়ার পর তদন্তে এ তথ্য জানা যায় বলে বৃহস্পতিবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে মোজাম্বিক, জোহানেসবার্গ, দোহা, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু ও নয়াদিল্লি হয়ে হেরোইন অস্ট্রেলিয়াসহ পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়।
ডিআরআইয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘তালেবাননিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের উন্নত মানের হেরোইন মোজাম্বিকে পাচার করা হয়।
‘সেখান থেকে এগুলো জোহানেসবার্গ, দোহা ও ভারতের শহরে যায়। পরে অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে হেরোইন পাচার হয়।’
তিনি বলেন, ‘পাচারকারীরা জোহানেসবার্গের সংস্থা এড়াতে সাউথ আফ্রিকানদের চোরাচালানে জড়িত করে না। বরং আফ্রিকার অন্যান্য দেশের নাগরিকদের এ কাজে ব্যবহার করা হয়।
‘ভারতের বিমানবন্দরে যা ধরা পড়েছে, তা হিমশৈলের কেবল উপরিভাগ হতে পারে। প্রধানত সমুদ্রবন্দর ঘিরে উদ্বেগ কাজ করছে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে পৌঁছতে মাদক পাচারকারীরা সহজ পথ ব্যবহার করে না।
‘আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে মাদকের চালান পৌঁছায়। তারপর ছোট ছোট নৌকায় চালানগুলো মোজাম্বিক উপকূলে নেয়া হয়।
‘স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও ওই সব নৌকার গতিপথ শনাক্ত করা সম্ভব নয়। মোজাম্বিক থেকে সড়কপথে মাদকগুলো এরপর সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরে পৌঁছায়।’
সোমবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২১ কোটি রুপি মূল্যের ৩ দশমিক ২ কেজি হেরোইনসহ জাম্বিয়ার এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে ভারতে আসা আফ্রিকার নাগরিকদের কাছ থেকে হেরোইন জব্দ করেছিল ডিআরআই।