ভারতের আসাম রাজ্যে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে জন্মহার নিয়ন্ত্রণে ‘জনসংখ্যা বাহিনী’ নামানোর প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিধানসভায় সোমবার দেয়া প্রস্তাবে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আসামের নিম্ন ভূমিতে এক হাজার তরুণ সদস্যের বাহিনী পাঠানোর কথা বলেন শর্মা।
জানান, বাহিনীটির কাজ হবে জন্মবিরতিকরণের পথ্য বিতরণ ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়ানো।
রাজ্যের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঘটছে বলেও দাবি করেন তিনি।
শর্মা বলেন, ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে আসামে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে জন্মহার বেড়েছে ১০ শতাংশ। বিপরীতে মুসলিমদের মধ্যে এ হার ২৯ শতাংশ।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আসামে হিন্দুদের সংখ্যা কম বলে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটছে। ভালো আবাসন ও পরিবহন সুবিধা পাচ্ছে তারা। তাদের সন্তানরা চিকিৎসক-প্রকৌশলী হচ্ছে।
যদিও তার এ দাবির ভিত্তি কিংবা কীভাবে তিনি এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, তা স্পষ্ট করেননি।
তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে আসামের পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের বাসিন্দারা যেসব প্রতিবন্ধকতার শিকার, রাজ্যের বাকি অঞ্চলের বাসিন্দারা তা কল্পনাও করতে পারবে না। পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের মানুষের কাছে শিক্ষার আলো পৌঁছাতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী তার রাজ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন ধরে নানা সম্ভাব্য ব্যবস্থার কথা বলে আসছেন বলে দাবি করেছেন।
যদিও তার এসব প্রস্তাবের বেশির ভাগই ছিল সংখ্যালঘু মুসলিমদের লক্ষ্য করে।
কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপিশাসিত রাজ্যটিতে বিতর্কিত এ প্রস্তাবের পর বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য উত্তর প্রদেশেও একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।