বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশে ফিরেছেন হাইতির ফার্স্টলেডি

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২১ ১২:৩২

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে হাইতি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে স্বামীর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে দ্রুত দেশে ফিরেছেন স্ত্রী।

হাইতিতে গুপ্তহত্যায় নিহত প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোউসের স্ত্রী ফার্স্টলেডি মার্টিন মোউসে দেশে ফিরেছেন। একই হামলায় গুরুতর আহত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, হামলার ১০ দিন পর শনিবার রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বিমানবন্দরে পৌঁছান ফার্স্টলেডি মার্টিন। বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরে বিমান থেকে নেমে আসেন তিনি।

কঠোর নিরাপত্তায় বিমানবন্দরে তাকে বরণ করেন ক্যারিবীয় দ্বীপ দেশটির অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদ জোসেফ।

তার স্বামী প্রেসিডেন্ট মোউসেকে গত ৭ জুলাই মধ্যরাতে বাসভবনে ঢুকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে হাইতি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহে স্বামীর শেষকৃত্যানুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে দ্রুত দেশে ফিরেছেন স্ত্রী।

হামলার বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানাননি ফার্স্টলেডি মার্টিন। চিকিৎসাধীন থাকাকালীন হাসপাতাল থেকে পাঠানো অডিও বার্তায় তিনি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।

হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিদেশি গুপ্তচররা বলে জানিয়েছে হাইতির পুলিশ। এ ঘটনায় আটককৃতদের বেশিরভাগই কলম্বিয়ান।

হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যা অভিযানে অংশ নেয়া কলম্বিয়ার ঘাতকরা অনেকেই সাবেক সেনা বলে জানা গেছে। তারা বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত হাইতি উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দরিদ্রতম দেশ। ২০১৭ সাল থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন ৫৩ বছর বয়সী মোউসে।

দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ আর রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক গণআন্দোলনের কারণে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে খুব একটা মসৃণ পথ পার করছিলেন না তিনি।

২০১৯ সালের অক্টোবরে হাইতিতে সাধারণ নির্বাচনের কথা থাকলেও নানা বিতর্কে পিছিয়ে যায় সেটি। ডিক্রি জারি করে দেশের নেতৃত্বভার ধরে রেখেছিলেন মোউসে। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবের ওপর আসছে সেপ্টেম্বরে গণভোট দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মোউসের পদত্যাগের দাবি জানান বিরোধীরা। সে সময় তাকে হত্যার ও সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার একটি ষড়যন্ত্র নস্যাতের কথা জানিয়েছিলেন মোউসে।

তাকে হত্যায় কারা জড়িত এবং কী উদ্দেশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তা এখনও অস্পষ্ট। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে বিনা বাধায় কীভাবে হত্যাকারীরা প্রবেশ করল, সে প্রশ্নসহ অনেক কিছুরই জবাব মেলেনি।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে গোয়েন্দাদের সহযোগিতা করতে পারেন ফার্স্টলেডি।

হাইতি পুলিশ জানিয়েছে, ২৬ কলম্বিয়ান ও দুইজন হাইতিয়ান-আমেরিকান হত্যা অভিযানে অংশ নিয়েছিল। এদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আটকাভিযানের সময় বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছে। পলাতক বাকি পাঁচজনের খোঁজে এখনও চলছে অভিযান।

হত্যায় মূল সন্দেহভাজন হিসেবে ফ্লোরিডাভিত্তিক হাইতিয়ান চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান ইম্যানুয়েল স্যাননকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর