রাশিয়ার ‘আগ্রাসন’ রুখতে একজোট হয়ে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি।
যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বিদায়ি জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বাইডেন জানান, রাশিয়া ও জার্মানির মধ্যে গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছেন তিনি। তবে মস্কোকে অস্ত্র কর্মসূচির জন্য জ্বালানির অপব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলে নিশ্চিত করেছে বার্লিন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ‘অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের’ বিরুদ্ধেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছেন দুই নেতা।
হোয়াইট হাউজে বৃহস্পতিবারের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং ন্যাটো মিত্রদের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে একসঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাব।’
তবে এক হাজার ১০০ কোটি ডলারের প্রায় সম্পূর্ণ ‘নর্ড স্ট্রিম টু’ প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করেননি বলেও স্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
ইউরোপ উপকূলে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা নর্ড স্ট্রিম রাশিয়া থেকে বাল্টিক সাগর হয়ে জার্মানিতে প্রবেশ করেছে।
হোয়াইট হাউজের সন্দেহ ইউক্রেন ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে এই পাইপলাইন কাজে লাগাতে পারে রাশিয়া। প্রকল্পটির ওপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থাও নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
বাইডেন আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সুরক্ষা ও মানবাধিকার নিশ্চিতের বিষয়ে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। চীন বা অন্য যেকোনো দেশ স্বাধীন ও উদার সমাজব্যবস্থার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালে আমরা প্রতিবাদ করব।’
বাণিজ্য খাতে সম্পর্ক বেশ শক্তিশালী হলেও মানবাধিকার ইস্যুতে প্রায়ই বেইজিংয়ের সমালোচনা করে বার্লিন।
যুক্তরাষ্ট্রের চার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করেছেন মেরকেল।
বাইডেনের পূর্বসূরি সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মেরকেলের অভিজ্ঞতা বরাবরই তিক্ত ছিল। তার আগে বারাক ওবামা ও জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গেও কিছু কিছু সময় তিক্ততার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে জার্মান চ্যান্সেলরকে।
২০০৫ সাল থেকে জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেরকেল। সেপ্টেম্বরের নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় সব জনমত জরিপে তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন এগিয়ে থাকলেও নির্বাচনে লড়ছেন না ৬৬ বছর বয়সী চ্যান্সেলর।