বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইরাকে হাসপাতালে আগুনে মৃত্যু বেড়ে ৯২

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ১২:৫৪

ইরাকের প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার দুটি দুর্ঘটনার জন্যই দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন। জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাসিরিয়া শহরে হাসপাতালের করোনাভাইরাস আইসোলেশন ওয়ার্ডে আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ জনে।

আল-হোসেন হাসপাতালে সোমবার রাতের আগুনে অগ্নিদগ্ধ ও আহত হয়েছে আরও শতাধিক মানুষ। প্রাণহানি বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রশাসনের।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন ক্ষুব্ধ স্বজনরা। এমনকি হাসপাতালটিতে কর্মরত এক চিকিৎসকও এই অভিযোগ করেছেন।

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটি অক্সিজেন ট্যাংকে ত্রুটি থেকে প্রথমে ট্যাংকটি বিদ্যুতায়িত ও পরে এটি বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকেই লাগে আগুন, যা দ্রুত ছড়িয়ে পরে পুরো ওয়ার্ডে।

তিন মাসের মধ্যে ইরাকে এটি এ ধরনের দ্বিতীয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দেশটির প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার দুটি দুর্ঘটনার জন্যই দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন। জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

আল-হোসেন হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক রয়টার্সকে বলেন, ‘হাসপাতালে আগুন নেভানোর যন্ত্র বা ফায়ার অ্যালার্ম কিছুই নেই। গত তিন মাসে অনেকবার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি আমরা যে, একটা সিগারেট থেকেও যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

‘প্রতিবার জবাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটা কথাই বলেছে যে, তাদের কাছে টাকা নেই। হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব মানে দুর্ঘটনাকে হাতে ধরে স্বাগত জানানো হচ্ছে।’

কিছু মরদেহ দাফনের জন্য স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২০টি মরদেহ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে পরিচয় শনাক্তের জন্য ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে রাজধানী বাগদাদের একটি হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংক বিস্ফোরণে প্রাণ যায় কমপক্ষে ৮২ জনের। ওই ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছিলেন ইরাকের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-তামিমি।

ইরাকের আধা-সরকারি মানবাধিকার কমিশনের প্রধান আলি বায়াতি বলেন, ‘সোমবারের এ দুর্ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে যে যুদ্ধ আর নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত ইরাকের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা ভঙ্গুর। ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেই বেশিরভাগ হাসপাতালে।

‘কয়েক মাস পরপর এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার অর্থ হলো এখনও পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা আমাদের নেই।’

হাসপাতালের একেকটি ওয়ার্ডকে আলাদা করতে ইট-পাথরের দেয়ালের বদলে হালকা প্যানেল ব্যবহার করা হয়। এতে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের প্রধান সালাহ জব্বার।

আগুনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদিমির নির্দেশের নাসিরিয়ার স্বাস্থ্য ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা আর আল-হোসেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপকদের সোমবার বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সরকারি অনুসন্ধান কর্মকর্তারা মঙ্গলবার আল-হোসেন হাসপাতালে পৌঁছেছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে স্থানীয় প্রশাসনের ১৩ জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছে নাসিরিয়ার একটি আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর