কোলাহলে ভরা ব্যস্ত রাস্তার ধারে এক ভবনের কার্নিশে দাঁড়িয়ে বিশালাকৃতির একটি বিড়াল। মিউ মিউ স্বরে ডাকতে ডাকতে এটি রাস্তায় চলাচল করা গাড়ি ও পথচারীর দিকে তাকাচ্ছে।
গলায় লাল বেল্ট বাঁধা বিড়ালটি কার্নিশে এক পা এগোচ্ছে তো আরেক পা পেছাচ্ছে। ব্যস, এতটুকুই। পাশের অন্য ভবনেও এটি লাফ দিচ্ছে না বা নিচেও নামছে না। ভবনটির ভেতরেও ঢুকছে না।
কারণ আর কিছুই নয়। বিড়ালটি আসল নয়, ভবনের গায়ে লাগানো এক বিলবোর্ডে বন্দি এই প্রাণী।
জাপানের রাজধানী টোকিওর ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিলবোর্ডের এই থ্রিডি বিড়ালকে দেখে স্মার্টফোনে ছবি তুলতে বা ভিডিও করার লোভ সংবরণ করতে পারেন না পথচারীরা।
টোকিওর শিনজুকু রেলস্টেশনের সামনে ওই ভবনের চার তলায় ১৫৪.৭ বর্গমিটারের এলইডি স্ক্রিনে ৪কে রেজল্যুশনের ‘জ্যান্ত’ বিড়ালটি বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে হাজির হয়। মনোরঞ্জন করে পথচারীদের।
জাপানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার দেশটির ৯২০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ১৩ মের পর এ সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ।
করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি নাগরিকদের একটু আনন্দ দিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিড়ালের এই বিলবোর্ড ঝুলিয়েছেন।
টোকিওর শিনজুকু রেলস্টেশনের কাছে এক পথচারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বিলবোর্ডের স্ক্রিনে বিড়ালটি এলেই একধরনের উদ্দীপনা কাজ করে আমাদের মধ্যে। বিড়ালটির মায়াবী চেহারা আমাদের আরাম দেয়।’
জাপানের বিলবোর্ড ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ইয়ুনিকার এক কর্মকর্তা জানান, করোনার কারণে টোকিওতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এ জন্য সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিড়ালটিকে বিলবোর্ডে দেখা যাবে।